বানারহাট: নদীর (River) ভাঙনে নদীগর্ভে যেতে বসেছে ডুয়ার্সের (Dooars) মোরাঘাট জঙ্গল। বিপন্ন হতে পারে বন্যপ্রাণ। যা নিয়ে চিন্তার ভাঁজ পরিবেশ প্রেমীদের (Environmentalist ) কপালে। বন দফতরের উদাসীনতা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। নদী থেকে অবৈভাবে ভাবে পাথর বালি উত্তোলন করাকেই দায়ী করছেন পরিবেশ প্রেমীরা। দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে সামনেই বড় বিপদের আশঙ্কা রয়েছে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
জলপাইগুড়ি বন বিভাগের মোরাঘাট জঙ্গলে রয়েছে চারটি বিট অফিস। খট্টিমারি বিট অফিসের পাশ দিয়েই জঙ্গলের গা ঘেঁষেই বয়ে গিয়েছে নোনাই নদী। মাঝে-মাঝেই এই নদী থেকেই অবৈধ ভাবে পাথর বালি উত্তোলন করার ছবি ধরা পড়ে। যার কারণে, বর্ষায় প্রতি বছর এই নদীর ভাঙনে ক্ষতির মুখে পড়ছে জঙ্গল।
আরও পড়ুন:আজ নাগপঞ্চমী, এদিন ভুলেও করবেন না এই কাজগুলি, কর্মফল ভোগ করবে সাত প্রজন্ম
উত্তরবঙ্গের মধ্যে অন্যতম খ্যাতনামা মূল্যবান শাল গাছ পাওয়া যায় এই মোরাঘাট জঙ্গলে। যার গুণগত মান অনেকটাই ভালো। ইতিমধ্যেই, বেশকয়েকটি মূল্যবান শাল গাছ এই নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গিয়েছে। এছাড়াও এই জঙ্গলে রয়েছে, চিতা বাঘ, হাতি, হরিণ, বাইসন, বুনো শুকর সহ বিভিন্ন বন্য জীবজন্তু। ভাঙন রুখতে এখনই প্রশাসন পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে ধীরে ধীরে পুরোও জঙ্গল নদীগর্ভে চলে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে পরিবেশ প্রেমী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ ভাঙন রুখতে অবৈধ ভাবে পাথর বালি উত্তোলন বন্ধের দাবিতে সরব হয়েছে। পাশাপাশি, বোল্ডার বাঁধ নির্মাণ করে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহনের দাবি তুলেছেন তাঁরা। মোরাঘাট রেঞ্জ অফিস সূত্রে খবর, এটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ। নদীর তীরে থাকা যে দুটি শাল গাছ নদীতে পড়েছিল বন কর্মীরা উদ্ধার করেছে । জঙ্গল লাগোয়া কোনও নদী থেকেই এখনও পর্যন্ত বালি পাথর চুরির ঘটনা তাদের নজরে পড়েনি। কারণ, বন কর্মীরা লাগাতার জঙ্গল লাগোয়া প্রত্যেকটি নদীতে নজরদারি চালায়। নদী ভাঙনের বিষয়টি উদ্বোতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।