অভিনেত্রী নীনা গুপ্তা কথায়, তিনি যে খুব বেশি সাহসী তা নয়, তবে সততাই তাঁকে সব সময় সাহস জুগিয়ে এসেছে। সেই শক্তি থেকেই নিজের জীবনের সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত তিনি নিয়েছিলেন। বলিউডে নীনা গুপ্তার নাম উচ্চারিত হওয়া মানেই তার ভক্তরা ধরেই নেন তিনি রেখেঢেকে কথা বলবেন না। সোজাসাপ্টা কথা বলতেই তিনি ভালোবাসেন। সে নিজের জীবন সংক্রান্তই হোক কিংবা বলিউড বা অন্য বিষয় হোক। আর সেই জন্যই গত বছর প্রকাশিত নীনা গুপ্তার আত্মজীবনী ‘সচ কহুঁ তো’ হটকেকের মতো বিকিয়েছে। গতবছর জয়পুর সাহিত্য উৎসবে তাঁর এই আত্মজীবনী প্রকাশিত হয়েছিল। তারাই আত্মজীবনী নিয়ে ছবি তৈরির কথা বেশ কয়েকবার হয়েছে। এই বইয়ের উপর ভিত্তি করে তার বায়োপিক তৈরির কথাবার্তা অনেকটাই এগিয়েছে। বিয়ে না করে মাসাবাকে পৃথিবীতে নিয়ে আসার বিষয় খোলাখুলি আলোচনা করেছেন নীনা তাঁর আত্মজীবনীতে। তিনি বলেছেন, আমি একজন মেয়ে যে একজনের প্রেমে পড়েছিলাম এবং অন্তঃসত্ত্বা হয়ে ছিলাম। নিজের সন্তানকে নিজের কাছে রাখতে চেয়েছিলাম। এটা অবশ্য খুব সহজ কাজ ছিল না। অনেক কাছের মানুষজন আমাকে সাবধান করেছিল এই বলে যে ভবিষ্যতে আমাকে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে’।যদিও এটিকে কোনও সাহসী তকমা দিতে চান না অভিনেত্রী। তবে নীনার চরিত্রেকে অভিনয় করবেন তা নিয়ে নানান জল্পনা- কল্পনা চলে আসছে। মিনার আত্মজীবনীর ব্যবসায়িক সাফল্য বলিউড পরিচালকদের নজর এড়িয়ে যায়নি। অনেক পরিচালকই চাইছেন আত্মজীবনী নিয়ে ছবি করতে। তাঁরা যে নীনার সঙ্গে এ ব্যাপারে যোগাযোগ করেছেন সে কথাও অভিনেত্রী জানিয়েছেন। যদিও এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কিছু হয়নি। কিন্তু তার চরিত্রে কে অভিনয় করবেন তা নিয়ে জল্পনা উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে। সত্যিই যদি ছবি তৈরি হয় তবে নীনার চরিত্রে কে অভিনয় করবেন? কন্যা মাসাবাকেই কি তরুণী নীনা হিসেবে ছবিতে দেখা যাবে! অল্প বয়সেও নীনা যেমন কারোর কথা মেনে চলতে রাজি ছিলেন না আজও তেমনটি আছেন। নিজের নিয়মে তিনি এগিয়ে চলতে চান এবং মেয়েকেও সেভাবেই তৈরি করেছেন তিনি।
Html code here! Replace this with any non empty text and that's it.