মুম্বই: তুনিশার মৃত্যু (Tunisha Sharma Death) রহস্যের জল যে অনেক দূর গড়াবে তা অভিনেত্রীর মৃত্যুর দু’দিন পর থেকেই আঁচ করা যাচ্ছিল। ডাবল ডেটিং (double) থেকে শুরু করে সিজানের (Sheezan Khan) মাত্রাতিরিক্ত যৌন চাহিদা, লাভ জিহাদ (love jihad)। একে একে এই বিষয়গুলি নিয়ে অভিযোগ তোলেন তুনিশার মা, মামা ও বেস্ট ফ্রেন্ড। এবার মিলল মৃত্যুর আগে তুনিশার হাতে লেখা একটি নোট। আলি বাবার সেটে তল্লাশি চালিয়ে মৃত্যুর আগে প্রাক্তন প্রেমিককে লেখা নোট উদ্ধার করল পুলিশ। আলি বাবার সেট থেকে একটি কাগজের টুকরো উদ্ধার করে পুলিশ কাগজের এক দিকে লেখা সিজান অন্য দিকে তুনিশার ছোট্টা বার্তা “ সহ অভিনেত্রী হিসেবে ও আমাকে পেয়ে ধন্য, ওহো! পুলিশে সূত্রে খবর তুনিশার হাতের লেখা এই কাগজ ছাড়াও সেট থেকে উদ্ধার হয়েছে ১০ ইঞ্চি লম্বা একটা কাপড়ের টুকরো। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান এই কাপড় থেকে টুকরো কেটেই সিজানের মেকআপ রুমে গলায় দড়ি দেন প্রয়াত অভিনেত্রী।
একইসহঙ্গে তুনিশার পাশাপাশি অপর একটি মেয়ের সঙ্গে সিজান সম্পর্কে ছিল বলে তুনিশার মৃত্যুর পরের দিনই অভিযোগ তোলেন তুনিশার মা ও মামা। এবার একই কথা শোনা গেল পুলিশের কাছে। পুলিশ সূত্রে খবর তুনিশার পাশাপাশি আরও একটি মেয়ের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে সিজান। তুনিশা যে দিন আত্মহত্যা করে সেদিনই না কী আলি বাবার সেটে তাঁর ওই সিক্রেট গার্লফ্রেন্ডের সঙ্গে টানা দু’ঘন্টা ফোনে কথা বলেন সিজান।
আরও পড়ুন: Tunisha Sharma last rites: মৃত্যু নিয়ে বিতর্কের মাঝেই মুম্বইয়ে শেষকৃত্য সম্পন্ন হল তুনিশার
এখনও পর্যন্ত তুনিশার মৃত্যুর তদন্তে নেমে তিনটি মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। এর মধ্যে একটি সিজানের। অভিযুক্তে ফোন ঘেঁটে তুনিশার মা ও তুনিশার সঙ্গে তাঁর হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে সিজানের সিক্রেট গার্লফ্রেন্ডের সঙ্গে যে চ্যাট সেটা ফোন থেকে আগেই ডিলিট করে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। এবার সেই ডিলিট করা হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট মোবাইল থেকে উদ্ধারের চেষ্টা করছে পুলিশ। এই চ্যাট রেট্রিভ হলেই তারপর এই মামলায় তদন্ত আরও এগোবে বলে জানা গেছে।
এদিকে এই ঘটনায় তদন্তকারী এক অফিসার জানিয়েছেন, তুনিশার মৃত্যুর তদন্তে কোনও রকম সহযোগিতা করছেন না সিজান। না তিনি ঠিক করে কোনও প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন না তিনি তদন্তের প্রক্রিয়ায় কোনও সাহায্য করছেন না। তার ওপর প্রত্যেকবার জেরায় নিজের বয়ান বদল করছেন সিজান।
View this post on Instagram
মেয়ের মৃত্যুর দিনই অভিনেত্রীর প্রাক্তন প্রেমিক ও সহ অভিনেতা সিজানের বিরুদ্ধে থানায়, আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন তুনিশার মা। এফআইআরের তিনি আরও উল্ল্যেখ করেন ২০২২-র জুনে আলি বাবা: দাস্তান-এ-কবুলে কাজ করতে শুরু করেন অভিনেত্রী। সেই সময় সহ অভিনেতা সিজানের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয় তাঁর। তাঁদের এই প্রেমের কথা জানত দু’পক্ষের বাড়ির লোক। এরইমধ্যে তুনিশাকে ঠকিয়ে অপর একটি মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক শুরু করে সিজান। তুনিশা এটা জানতে পেরেই মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। এর প্রভাব পড়ে তাঁর স্বাস্থ্যেও। এই ব্যবহার সহ্য করতে না পেরে শেষ পর্যন্ত একরম একটা চরম সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন তুনিশা।