প্রায় তিন বছর পর দেশের মাটিতে পা রেখেছেন বলিউড “দেশি গার্ল'(Deshi Girl) প্রিয়াঙ্কা চোপড়া(Priyanka Chopra)। সম্প্রতি লখনৌয়ে ‘ইউনিসেফ’ এর অফিস পরিদর্শনে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী। রাজ্যে মেয়েদের সঙ্গে সহিংসতা ও বৈষম্যের অবসান ঘটাতে ইউনিসেফের(UNICEF) কাজের অগ্রগতি দেখার জন্যই তিনি লখনৌ শহরে গিয়েছিলেন। তাছাড়াও ঔরঙ্গাবাদের একটি বিদ্যালয় ও অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টার ঘুরে দেখেন। সেখানকার বাচ্চাদের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটান।
আরো পড়ুন: Srabanti Chatterjee: শ্রাবন্তী বিতর্ক
কিন্তু এই সফরে এসে সবার কাছ থেকে উষ্ণ অভ্যর্থনা পাননি অভিনেত্রী। একটি সংস্কার তরফে দাবি করা হয় প্রিয়াঙ্কা চোপড়াকে লখনৌতে আর কোনদিন স্বাগত জানানো হবে না। প্রিয়াঙ্কার বিরুদ্ধে পোস্টার লেখা হয়। পোস্টারে লেখা হয় ‘ইউ আর নট ওয়েলকাম’। আরো লেখা হয়, ‘নবাবদের শহরে তোমাকে স্বাগত জানানো হবে না’। অর্থাৎ প্রিয়াঙ্কা চোপড়া, লখনৌতে আসো তাও তাঁরা চাইছিলেন না।
‘ইন্ডিয়া টুডে’ পত্রিকা অনুযায়ী আন্দোলনকারীরা ওয়ান্টিকো নামক তার শোর বিরুদ্ধে ছিল। যা হিন্দু সম্প্রদায়কে সন্ত্রাসী হিসেবে চিত্রিত করে এবং ভারতের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করে। ধর্মীয় ভাবাবেগে এভাবে আঘাত করার জন্যই তারা প্রতিবাদ জানিয়েছে।
এদিকে লখনৌ সফরে আসার আগে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া গাড়িতে বসে একটি ভিডিও শেয়ার করেছিলেন। তিনি বলেন, ”এই মুহূর্তে আমি লখনৌতে আছি। ইউনিসেফ এর কাজ পরিদর্শের জন্য সেখানে যাচ্ছি। আমি সত্যি এই ফিল্ড ভিজিটের জন্য উন্মুখ। আমি ছোটবেলায় লখনৌ এর একটি স্কুলে পড়াশোনা করেছি। ওখানে আমার বেশ কিছু বন্ধুবান্ধব রয়েছে। কাজেই আমি জানতে ইচ্ছুক যে উত্তরপ্রদেশের মহিলা শিশুদের জন্য পরিস্থিতি আগের তুলনায় কতটা ভালো হয়েছে। উন্নত প্রযুক্তির যুগে সেখানকার মানুষরা আদৌ কোন সুবিধে পাচ্ছে কিনা সেটা আমি দেখতে চাই। গোটা ভারত জুড়ে লিঙ্গবৈষম্য রয়েছেই যার ফলে সবসময় মহিলারা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন। আমি তাদের মুখে শুনতে চাই প্রতিদিন তাঁরা কি ধরনের প্রতিকূল অবস্থার মধ্যে দিন কাটান। আমি সেগুলোর সমাধান করার চেষ্টা করব। নারী ও মহিলারা শুধু নিজেদের জন্য নয় তাদের সম্প্রদায়ের জন্য ভালো ভবিষ্যত করার চাবিকাঠি বলে আমি মনে করি”