নয়াদিল্লি: জনগণের উপর বিমান হামলা (Air Strike) চালানোর কথা এবার স্বীকার করে নিল মায়ানমারের (Myanmar) সামরিক জুন্টা (Junta) সরকার। বিমান হানায় কমপক্ষে ১০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে ছিলেন বহু শিশু এবং মহিলা।মঙ্গলবার সকালে সাগাইং এলাকার কানবালু টাউনশিপের পাজিগাই গ্রামে (Pazigyi Village) জড়ো হয়েছিলেন শতাধিক মানুষ। উপলক্ষ ছিল বিরোধী আন্দোলনের স্থানীয় দফতরের উদ্বোধন করা। সেখানেই সকাল ৮টা নাগাদ আকাশ থেকে বোমাবর্ষণ শুরু হয়।
এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, শ’দেড়েক মানুষের জমায়েত হয়েছিল সেই কর্মসুচিকে কেন্দ্র করে। তার মধ্যে ২০ থেকে ৩০টি শিশু এবং অন্তঃসত্ত্বা মহিলারাও ছিলেন। সামরিক জুন্টা সরকারের যুদ্ধ বিমান থেকে ফেলা বোমার আঘাতে তাঁদের সকলেরই মৃত্যু হয়েছে বলে জানান। তিনি আরও জানান, বেঁচে নেই বিরোধী আন্দোলনের স্থানীয় নেতৃত্বও।
আরও পড়ুন: Punjab Military | ভাটিন্ডার সেনা ঘাঁটিতে গুলি, মৃত ৪
সেনা সরকারের মুখপাত্র জানিয়েছেন, ওই এলাকায় পিপলস ডিফেন্স ফোর্স একটি কার্যালয় উদ্বোধনের অনুষ্ঠান চলছিল। সেখানেই এই ভয়াবহ হামলাটি করা হয়েছে। পিডিপি মায়ানমারের ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্টের সশস্ত্র শাখা। জাতীয় সরকার নিজেদের দেশের আইনি সরকার বলে দাবি করে। সামরিক সরকারের মূল বিরোধী হিসাবেও গোটা দেশে কাজ করে তারা।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, প্রথম বোমাবর্ষণ পর্ব শেষ হওয়ার আধ ঘণ্টা বাদে একটি হেলিকপ্টার আকাশে চক্কর কাটতে থাকে। সেখান থেকেও গুলি ছুটে আসছিল। তাতেও অনেকের মৃত্যু হয়েছে। ঠিক কত জনের মৃত্যু হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। মায়ানমারের সামরিক জুন্টা সরকারও বিমান হামলা চালানোর কথা স্বীকার করে নিয়েছে।