ওয়েব ডেস্ক: প্রথমে অভিবাসন নীতি, পরে শুল্ক নীতি, আর এবার প্রশাসনের শীর্ষ আইন কর্মকর্তাদের বরখাস্ত। দ্বিতীয় মেয়াদে ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) চমক যেন শেষই হচ্ছে না। সূত্রের খবর, প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের (Joe Biden) সময় নিযুক্ত সমস্ত মার্কিন অ্যাটর্নিকে (US Attorney) বরখাস্তের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। প্রশাসনের এক সূত্র জানিয়েছে, ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন মার্কিন অ্যাটর্নিকে চাকরি থেকে বরখাস্তের চিঠি পাঠানো হয়েছে, যাদের সবাই ছিলেন বাইডেন প্রশাসনের নিয়োগপ্রাপ্ত। এর জেরে সোমবার কয়েকজন অ্যাটর্নি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন।
মঙ্গলবার এই সিদ্ধান্তের কথা স্পষ্টভাবে জানিয়ে ট্রাম্প বলেন, “হাউস পরিষ্কার করতে হবে। আমেরিকার বিচার ব্যবস্থায় পুরনো আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে হবে। আমেরিকার স্বর্ণযুগ তৈরিতে একটি ন্যায্য বিচার ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।” ট্রাম্পের এই ঘোষণার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইন বিভাগ থেকে বাইডেন-যুগের সমাপ্তি কার্যত নিশ্চিত হয়ে গেল। যদিও আমেরিকার ডিপার্টমেন্ট অফ জাস্টিস এই বিষয়ে এখনও কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি।
আরও পড়ুন: পুতিন প্রয়োজনে কথা বলবেন জেলেনস্কির সঙ্গে, জানাল মস্কো
মার্কিন প্রশাসনে নতুন প্রেসিডেন্ট দায়িত্ব নেওয়ার পর নিজের পছন্দমতো কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা নতুন কোনও ঘটনা নয়। তবে সাধারণত এই ধরনের রদবদল আনুষ্ঠানিকভাবে করা হয় এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের স্বেচ্ছায় পদত্যাগের জন্য সময় দেওয়া হয়। কিন্তু এবার নির্দেশ জারি করে সরাসরি বরখাস্তের ঘটনা নজিরবিহীন। আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, ট্রাম্প প্রশাসনের এই পদক্ষেপ আইনি ও রাজনৈতিক বিতর্ক সৃষ্টি করতে পারে।
এর আগে বাইডেনের নিরাপত্তার ছাড়পত্রও প্রত্যাহার করেছেন তিনি। ফলে বাইডেন আর কোনো গোপন সরকারি তথ্য পাবেন না। এরপর ট্রাম্প সরাসরি স্বীকার করেছেন যে, এটি একপ্রকার প্রতিশোধ। তিনি বলেন, “এই উদাহরণটি তৈরি করেছেন বাইডেন নিজেই। ২০২১ সালে আমার নিরাপত্তার ছাড়পত্র তুলে নিয়েছিলেন তিনি। তখন গোয়েন্দা সংস্থাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, আমাকে যেন জাতীয় নিরাপত্তার আর কোনো খবর না দেওয়া হয়। এখন আমি একই নিয়ম তার ওপর প্রয়োগ করছি।”
দেখুন আরও খবর: