ওয়েব ডেস্ক: ভূমিকম্প বিধ্বস্ত মায়ানমারের (Myanmar) পাশে দাঁড়িয়ে সেখানে ‘অপারেশন ব্রহ্ম’ চালিয়েছিল ভারত (India)। ভারতের বায়ুসেনা এবং নৌসেনাকে নামানো হয় এই অভিযানে। আর এবার থাইল্যান্ডে মুখোমুখি দুই দেশের দেশপ্রধানরা। ব্যাঙ্ককে অনুষ্ঠিত বিমস্টেক শীর্ষ সম্মেলনের (BIMSTEC) ফাঁকে মায়ানমারের সেনাশাসক জেনারেল মিন অং হ্লাইংয়ের (General Min Aung Hlaing) সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। আর এই আবহে দুই দেশের বৈঠককে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহল।
ভারতের বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, দুই নেতার এই পার্শ্ববৈঠকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হয়েছে। দুই দেশপ্রধানের কথোপকথনের মধ্যে উঠে এসেছে দুই দেশের যোগাযোগ, পরিকাঠামো উন্নয়ন, সক্ষমতা বৃদ্ধি ও বাণিজ্যিক সহযোগিতা ইত্যাদি। এই বৈঠকের পর মোদি বলেন, “ভারত ও মায়ানমারের সম্পর্ককে আরও গভীর করতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।”
আরও পড়ুন: থাইল্যান্ডে মোদির পাশেই বসে ইউনুস, একান্ত বৈঠক কি হবে?
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মায়ানমারে গণতান্ত্রিক সরকার উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করে সেনা। এর ফলে ভারত-মায়ানমার সম্পর্ক কিছুটা শিথিল হয়ে পড়ে। অথচ ঐতিহাসিক, কৌশলগত ও ভৌগোলিক দিক থেকে মায়ানমার ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় নীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দেশ। তবে সাম্প্রতিক সময়ে মায়ানমারের গৃহযুদ্ধ এবং ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর নতুন করে ভারতের সহানুভূতি ও সাহায্যের আশা করছে জুন্টা সরকার।
এইসব কারণেই বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, মোদি এবং জেনারেল মিনের এই বৈঠক শুধু মানবিক সহায়তার জন্য নয়, বরং দীর্ঘমেয়াদি কৌশলগত সম্পর্কের নতুন পরিসরও তৈরি করতে পারে। আগামী দিনে বাংলাদেশ, নেপাল ও অন্যান্য প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের প্রেক্ষাপটেও এই বৈঠক তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
দেখুন আরও খবর: