কিয়েভ: ইউক্রেনের (Ukraine) আরও একটি শহর দখল করার পর রুশ বাহিনীর প্রশংসা শোনা গিয়েছিল প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের (Vladimir Putin) মুখে। এবার তার পাল্টা দেওয়ার চেষ্টা করল ন্যাটো (NATO)। তারা জানিয়েছে, খুব শিগগিরই পশ্চিমি দেশগুলো থেকে আরও অস্ত্রসম্ভার পেতে চলেছে ইউক্রেন। সম্প্রতি ফের পাশ্চাত্যের কাছে গাড়ি, কামান এবং ক্ষেপণাস্ত্র চেয়ে আবেদন করেছিল কিয়েভ (Kyiv)। ন্যাটোর সেক্রেটারি জেনারেল জেন্স স্টোনটেলবার্গ জানান (Jens Stoltenberg), খুব শিগগিরই সেসব পেতে পারে ভোলোদিমির জেলেন্সকির (Volodymyr Zelenskyy) দেশ।
সেক্রেটারি জেনারেল (Secretary General) বলেন, যুদ্ধের ভারী অস্ত্রসম্ভার চেয়ে সাম্প্রতিক আবেদন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমি আশা করছি খুব শিগগিরই তারা এসব পেয়ে যাবে। কিয়েভকে অস্ত্রসাহায্য করা একটি দলের সঙ্গে বৈঠকের পর জার্মান সংবাদমাধ্যমকে এ কথা জানালেন স্টোনটেলবার্গ।
আরও পড়ুন: DR Congo Explosion: কঙ্গোর গির্জায় বোমা বিস্ফোরণে মৃত ১০, নেপথ্যে ইসলামিক জঙ্গি সংগঠন!
এদিকে দিনিপ্রোর একটি টাওয়ার ব্লকে রাশিয়ার মিসাইল হানার তীব্র নিন্দা করেছে আমেরিকা। ওই হানায় এখনও পর্যন্ত অন্তত ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। উদ্ধারকাজ চলছে এবং আরও মৃত্যুর আশঙ্কা আছে।
বেশ কিছু আগেই রাশিয়া দাবি করেছিল, পূর্ব ইউক্রেনের সোলেদার (Soledar) শহর দখল করেছে তারা। এককালে নুনের খনি থাকা এবং ১০,০০০ মানুষের আবাসস্থল এই সোলেদার। সেই দাবির এতদিন পর একে বড় সাফল্য বলে আখ্যা দিয়েছেন পুতিন। রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, একটা ইতিবাচক ছন্দ দেখা যাচ্ছে, সবকিছু পরিকল্পনা অনুযায়ীই ঘটছে। আশা করি, আমাদের যোদ্ধারা এরকম একবার নয়, আরও আনন্দ দেবে।
ইউক্রেন রাশিয়ার দাবি অস্বীকার করেছিল, জোর দিয়ে বলেছিল যে সোলেদারে এখনও ভারী লড়াই চলছে। তবে রবিবার, মার্কিন ভিত্তিক ইনস্টিটিউট ফর স্টাডি অফ ওয়ার জানিয়েছে, ইউক্রেনীয় বাহিনীর এখনও সোলেদারের বসতির মধ্যে অবস্থানে থাকার সম্ভাবনা খুব কম। সেখানে রাশিয়ার জয় যদি প্রমাণিত হয়, তবে কয়েক মাস ব্যর্থতার ধাক্কা খেয়েই হয়েছে। শহরের জন্য যুদ্ধে উভয় পক্ষেরই ভারী ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তাতে সন্দেহ নেই।