কিভ: রুশ ক্ষেপণাস্ত্রে মারিউপোল ধ্বংসনগরী। বিধ্বস্ত খারকিভ শহরও। মারিউপোল, খারকিভের মতো এতটা ধ্বংসাত্মক চেহারা না-নিলেও রুশ গোলার আঘাতে ইউক্রেনের একাধিক শহর লন্ডভন্ড। যেন শক্তিশালী কোনও ঝড়ে এক লহমায় ধূলিস্মাৎ একের পর জনপদ। রাশিয়ার মুহুর্মুহু হামলার মুখে ইউক্রেনে যদি সত্যিই কিছু অবশিষ্ট থাকে, তা হল শ্মশানের শান্তি! শহর পোড়া গন্ধ। হানাদারদের অস্তিত্বের জানান দিতে আর আছে গোলাবারুদের দুড়ুম-দাড়াম। এই যুদ্ধ-ত্রস্ত আবহে আরও একবার রাজধানী কিভে কারফিউ জারি হল।
কিভ শহরের মেয়র ভিটালি ক্লিটসকো জানিয়েছেন, সোমবার, ২১ মার্চ রাত ৮টা থেকে শহরজুড়ে কারফিউ জারি হবে। চলবে, ২৩ মার্চ ভোর ৭টা পর্যন্ত। কেন ফের কারফিউ? সে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি। তবে, মেয়রের ঘোষণা অনুযায়ী, সব ধরনের দোকানপাট, ওষুধের দোকান এমনকী গ্যাস স্টেশনও দু-দিন ধরে বন্ধ থাকবে। বিশেষ অনুমতি ছাড়া কারফিউ চলাকালীন কোনও গাড়িকেও রাজধানীর রাজপথে ছাড়পত্র দেওয়া হয়নি।
⚡️New curfew in Kyiv and Kyiv Oblast will last from 8 p.m. on March 21 until 7 a.m. on March 23.
Stores, pharmacies, and gas stations will be closed. “Only vehicles with special permits can move around the city,” Kyiv Mayor Vitali Klitschko said.
— The Kyiv Independent (@KyivIndependent) March 21, 2022
কিভে বড়সড় রুশ হামলার আশঙ্কাতেই কি কারফিউ? অনেকেই তা মনে করছেন। পুতিনবাহিনীর এখন প্রাথমিক লক্ষ্যই যে কিভের দখল, ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের রিপোর্টে ইতিমধ্যে তা নিয়ে সতর্ক করা হয়েছে। সোমবার উত্তর কিভে লাগাতার হামালা চালানো হয়েছে। যে কোনও সময় নিশানা বদলে মধ্য কিভে পৌঁছে যেতে পারে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র। পুতিনের লক্ষ্য কিভকে চারপাশ থেকে ঘিরে ফেলে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির উপর মানসিক চাপ সৃষ্টি করা। মধ্য কিভ থেকে মাত্র ২৫ কিলোমিটার দূরে রুশ সৈন্যরা। ব্রিটেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের খবর অনুযায়ী, প্রচুর পরিমাণ সেনা সেখানে মোতায়েন রয়েছে।
তার পরেও জেলেনস্কি কিন্তু দমবার পাত্র নন। দৃঢ়তার সঙ্গে জানিয়েছেন, কিভের দখল নেওয়া রাশিয়ার জন্য এত সহজ হবে না। তৃতীয় বিশ্বের আশঙ্কাও ব্যক্ত করেছেন। পাশাপাশি সমঝোতার সমস্ত রকম পথ খোলা রেখে দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। এখন দেখার, পুতিন শেষপর্যন্ত জেলেনস্কির সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসতে রাজি হন কি না।