কলকাতা: ইরান কি ইজরায়েলের আসল দুর্বলতা জেনে গিয়েছে। এই প্রশ্নই এখন ঘুরছে আন্তর্জাতিকস্তরে। হামাস-ইজরায়েল যুদ্ধ শুরু পর ইজরায়েল ভূখণ্ডে দুবার হামলা করেছে ইরান। প্রথমটি গত ১৩ এপ্রিল ও দ্বিতীয়টি ১ অক্টোবর। এপ্রিলে করা ইরানের হামলায় প্রায় ৩০০-এর বেশি রকেট ও ড্রোন ছোড়ে ইজরায়েলে। যার মধ্যে রয়েছে ১১০টি ড্রোন ও ৩০টি ক্রজ মিসাইল ও ১১০টি ব্যালেস্টিক মিসাইল। আর এবার তেল হাবিবকে টার্গেট করে ২০০টি দূরপাল্লার ক্ষপণাস্ত্র ছোড়ে ইরান। যার মধ্যে ছিল ফাতা মিসাইলও। ইজরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষার ব্যাপারে সকলেই অবগত। তবে প্রশ্ন উঠছে, এত আধুনিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থাকতেও, কেন তা প্রতিহত করতে পারেনি।
ইজরায়েলে তিন ধরনের আকশ প্রতিরক্ষা রয়েছে। প্রথমটি আয়রন ডোম। যা ১০ কিলোমিটার উচ্চতায় ও ৭০ কিলোমিটার বিস্তৃত অঞ্চলের যে কোনও রকেট আকাশেই ধ্বংস করে দিতে পারে। দ্বিতীয়টি ডেভিড স্লিং। যা ১৫ কিলোমিটার উচ্চতার ও ৩০০ কিলোমিটার বিস্তৃত অঞ্চলের ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করে দিতে পারে। যেহেতু ইরান থেকে ইজরাায়েলের দূরত্ব এক হাজার কিলোমিটার, তাই আকাশ প্রতিরক্ষায় আয়রন ডোম ও ডেভিড স্লিং ঠিকভাবে কাাজ করতে পারে না। এর জন্য ইজরায়েল ব্যবহার করে সবচেয়ে আধুনিক অ্যারো সিস্টেম। এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ২৪০০ কিলোমিটার বিস্তৃত এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করে দিতে পারে। এখন মনে হতে পারে তাহলে তো কোনও দেশই ইজরায়েলে ক্ষপণাস্ত্র হামলা করে শেষ করতে পারবে না। তবে আসল ঘটনা অন্য।
আরও পড়ুন: সাহারায় ৫০ বছরের মধ্যে প্রথম বন্যা
ইজরায়েলের এই আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্রচণ্ড ব্যয়বহুল। মনের খুশির মতো ব্যবহার করা সম্ভব নয়। আয়রন ডোম থেকে ছোড়া প্রতিটি মিসাইলের খরচ প্রায় ৫০ হাজার ডলার। ডেভিড স্লিং-এর একএকটি ক্ষেপণাস্ত্রের ব্যয় ১০ লক্ষ ডলার। আর সবচেয়ে ব্যয়বহুল হল অ্যারোসিস্টেম। তাই বলা হচ্ছে, ইরান আসলে ইজরায়েলের আসল দুর্বলতা জেনে গিয়েছে।
দেখুন আরও অন্যান্য খবর: