ওয়েব ডেস্ক: দিল্লি চলো ডাক না দিলেও দিল্লি থেকেই আম আদমি পার্টির (আপ) সূচনা। সেখান থেকেই দেশের বিভিন্ন রাজ্যে ক্ষমতা দখলের স্বপ্ন অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দলের। দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে (Delhi Assembly Election) ভরাডুবি হয়েছে আপের (AAP)। হেরেছেন আপের মুখ দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)। পঞ্জাবে বিধানসভা নির্বাচন ২০২৭ সালে। ইতিমধ্যে কংগ্রেসের দাবি, পঞ্জাবে আপের অন্তত ৩০ জন বিধায়ক দলবদল করতে পারে। এমনকী খোদ মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানও না কি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন বলে কংগ্রেস নেতা প্রতাপ সিং বাওয়েজার দাবি। এই প্রেক্ষিতে আজ, মঙ্গলবার দিল্লিতে কপুরথালা হাউসে পঞ্জাবের বিধায়কদের নিয়ে বৈঠক কেজরিওয়ালের। ইতিমধ্যে ভগবন্ত মান সহ ৯১ জন বিধায়ক হাজির হয়েছেন দিল্লিতে। এমনও শোনা যাচ্ছে লুধিয়ানার ফাঁকা থাকা আসন থেকে লড়ে পঞ্জাবে মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন কেজরিওয়াল।
২০২২ সালের নির্বাচনে ১১৭টি আসনের মধ্যে ৯২ আসন পেয়ে পঞ্জাবে ক্ষমতায় এসেছিল আপ। দিল্লিতে ৭০ আসনের মধ্যে ২২ আসন পেয়েছে কেজরিওযাল। বিজেপি ২৭ বছর পর ক্ষমতায় ফিরে রাজধানীতে ৪৮ আসন দখল করেছে। অপারেশনাল লোটাস বিজেপি চালু করলে কেজরিওয়ালের দলের বিধায়ক সংখ্যা হয়তো আরও কমে যেতে পারে। ফলে পঞ্জাবই একমাত্র ভরসা। তাই দেরি না করে ভবিষ্যতের নির্বাচনের স্ট্র্যাটেজি ঠিক করতে এদিনের বৈঠকে।
আরও পড়ুন: মহামণ্ডলেশ্বর পদ থেকে ইস্তফা মমতা কুলকার্নির, অভিনেত্রী ‘সাধিকা’র পরবর্তী পদক্ষেপ কি?
কংগ্রেসের সঙ্গে আপের জোট না হওয়া, ঘরে মন না দিয়ে বাইরে তাকাও নীতি নেওয়া, দুর্নীতি, প্রতিষ্ঠান বিরোধী হওয়া সহ বিভিন্ন কারণ উঠে এসেছে দিল্লিতে কেজরি ওয়াল ভাঙার পিছনে। পঞ্জাব গেলে আম, ছালা সব যাবে। পঞ্জাবে কৃষকরা খুশি নয়। আপ সরকারের বিধায়করা দল ভাঙতে পারে। তাই গুছিয়ে নেওয়ার জন্যই এদিনের বৈঠক। কেজরিওয়ালের ভবিষ্যত নিয়েও দলীয়স্তরে এটি প্রথম বৈঠক।
দেখুন অন্য খবর: