ওয়েব ডেস্ক: আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের (Vladimir Putin) মুখোমুখি বৈঠক হতে চলেছে। এই মাসের মধ্যেই সেই বৈঠকের (Meeting) সম্ভাবনা। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Russian Ukraine War) বন্ধ করতে এই পদক্ষেপ। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বুধবার বলেন, ট্রাম্প ও পুতিনের বৈঠক হতে পারে ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে। রাশিয়ার বিদেশ মন্ত্রী সের্গেই লাভরভ আমেরিকার সেক্রেটারি অফ স্টেট মার্কো রুবিয়োর সঙ্গে সৌদি আরবে মঙ্গলবার বৈঠক করেছেন। রিয়াধের বৈঠকের বিষয়ে তিনি বলেন, এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। ওই বৈঠকে ছিল না ইউক্রেনের কোনও প্রতিনিধি। এমনকী ইউরোপের দেশগুলিরও কোনও প্রতিনিধি ছিল না। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে এই প্রথম ইউরোপের সমস্যা নিরসনে রাশিয়া ও আমেরিকার উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হল।
তিনবছর ধরে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে। শক্তিধর রাশিয়ার কাছে ইউক্রেন অচিরেই ভেঙে পড়বে এমনটাই অনেকেই মনে করেছিলেন। কিন্তু মূলত আমেরিকা সহ পশ্চিমী বিশ্বের সাহায্যে ইউক্রেন প্রতিরোধ চালিয়ে গিয়েছে। এক্ষেত্রে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকে সবচেয়ে বেশি সমর্থন দিয়েছেন আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেম্ট জো বাইডেন। কিন্তু সেসব অতীত। রাশিয়া ও আমেরিকা দীর্ঘদিন ধরে ‘শত্রু’ দেশ বলেই পরিচিত। সেই রাশিয়া ও আমেরিকা এখন একসঙ্গে বৈঠকে বসতে চলায় আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সম্পর্কে নতুন সমীকরণের ইঙ্গিত পাচ্ছে পুলিশ। এবার তা আরও একধাপ এগিয়ে ট্রাম্প-পুতিন বৈঠকে বসতে চলেছেন। তবে প্রথমবার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার সময়ও ট্রাম্পের সঙ্গে পুতিনের ব্যক্তিগত সম্পর্ক ভালো ছিল। সূত্রের খবর, খবর, ইউক্রেনে জেলেনস্কিকে ক্ষমতা থেকে সরাতে চাইছেন ট্রাম্প। সেজন্য আমেরিকা নতুন করে ভোট চাইছে সেখানে। সৌদিআরবে রাশিয়া ও আমেরিকার বৈঠক নিয়ে জেলেনস্কি জানিয়েছিলেন, ইউক্রেনকে বাদ দিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হলে তা মানা হবে না।
আরও পড়ুন: ট্রাম্পের প্রতিশোধ! বরখাস্ত হলেন বাইডেন আমলের সব অ্যাটর্নি
দেখুন অন্য খবর: