ওয়েব ডেস্ক: আচমকা নিরুদ্দেশ হয়ে গিয়েছিলেন গৃহবধূ ললিতা বাই (Lalita Bai)। এক মহিলার (Women) ক্ষত বিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়। হাতের ট্যাটু ও পায়ে বাঁধা সুতো দেখে ললিতা বলে চিহ্নিত করে তাঁর পরিবার। মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে পরিবারের। মৃত মহিলার দুই শিশু সন্তান নিয়ে অথৈ জলে ডুবে যাওয়ার উপক্রম হয় পরিবারের। শেষ কৃত্য সম্পন্ন হয়। তাঁকে খুনের অভিযোগে জেল খাটছেন চার জন। আচমকাই ঘটনার দেড় বছর পর বাড়িতে হাজির তিনি। চমকে যায় সবাই। মাকে দেখে পাগল পারা তাঁর দুই সন্তান। বৃদ্ধ বাবার চোখ দিয়ে আনন্দে জল গড়িয়ে পড়ছে। যমালয়ের জীবন্ত মানুষ! হইচই এলাকায়। স্তম্ভিত করে দেওয়া এই ঘটনা ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের (Madhyapradesh) মান্দসৌর জেলায়। গান্ধীসাগর থানার (Gandhisagar PS) পুলিশ ঘটনা নিশ্চিত করেছে। ললিতা জানিয়েছেন, তাঁকে ৫ লাখ টাকায় বিক্রি করে দেওয়া হয়েছিল। এই দেড় বছর তিনি রাজস্থানের কোটায় ছিলেন। দুষ্কৃতীর খপ্পর থেকে কোনওরকমে পালিয়ে এসেছেন।
তাঁর বাবা রমেশ নানুরাম বাঞ্ছাড়া বলেন, একটি ক্ষতবিক্ষত দেহে শারীরিক চিহ্ন দেখে তাঁর মেয়ের বলে মনে করেছিলেন। পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়। ওই ঘটনায় গ্রেফতার হয় ইমরান, শাহরুখ, সোনু ও এজাজ। তাঁরা অপরাধে জেল খাটছেন। ললিতা জানিয়েছেন, তিনি শাহরুখ নামে একজনের সঙ্গে ভানুপাড়া গিয়েছিলেন। সেখানে দুদিন ছিলেন। তারপর সেখান থেকে শাহরুখ নামে অন্য এক ব্যক্তির কাছে ৫ লাখ টাকায় তাঁকে বিক্রি করে দেওয়া হয়। পুলিশ পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসীর মাধ্যমে তাঁর পরিচয় নিশ্চিত করেছে। পুলিশ গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছে। ললিতা তাঁর আধার কার্ড ও ভোটার কার্ড জমা দিয়েছেন। পুলিশের শীর্ষস্তরে ও থান্ডলা থানায় এই বিষয়ে তথ্য দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিচারপতির বাড়ি থেকে ১৫ কোটি উদ্ধার, উল্লেখ নেই দমকল রিপোর্টে
দেখুন অন্য খবর: