ওয়েব ডেস্ক: দিল্লিতে (Delhi) ৪০ শতাংশ মধ্যবিত্ত ভোটার। রাজধানীর প্রায় অর্ধেক বাসিন্দা দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে এসেছেন। হিন্দি বলয়ের পূর্ব উত্তর প্রদেশ ও বিহার থেকে আসা বাসিন্দাদের বসতি এলাকায় বিজেপি বড় মার্জিনে এগিয়ে। অন্তত এরকম ২৫টি আসনে জয়ের দোরগোড়ায় পদ্ম শিবির। অথচ ২০১৫ ও ২০২০ সালে সেখানে আপের (AAP) ক্লিন সুইপ হয়। মধ্যবিত্তরাই (Middle Class) এবার দিল্লিতে কিংমেকার (Kingmaker)। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
পশ্চিম দিল্লি, পূর্ব দিল্লি, মধ্য দিল্লি, দক্ষিণ দিল্লি ও নয়াদিল্লি। সামগ্রিকভাবে দিল্লির মধ্যবিত্ত প্রভাবিত সবকটি আসনেই জয় পেল বিজেপি। পশ্চিম দিল্লি ও নতুন দিল্লিতে বিজেপি সব থেকে বেশি আসনে এগিয়ে। সেখানে ২০২০ সালে বিজেপি একটিও আসন পায়নি। দক্ষিণ দিল্লির ১৫টি আসনের মধ্যে বিজেপি ১১টি আসনে এগিয়ে। ২০২০ সালে সেখানে আপ ১৪টি আসন জিতেছিল। যমুনার অববাহিকায় ২০টি আসনের মধ্যে বিজেপি ১২টি আসনে এগিয়ে। সেখানে কলোনি এলা্কায় অনুন্নয়ন নিয়ে অভিযোগ তুলেছিলেন বাসিন্দারা। সেই সব কলোনির অনুমতি মেলেনি আপ সরকারের আমলে।
আরও পড়ুন: বিরোধী হয়ে মানুষের পাশে থাকব, ক্ষমতার জন্য আসিনি: কেজরিওয়াল
২০১৫ সালে বিজেপি দিল্লিতে ৩টি আসন পায়। ২০২০ সালে পেয়েছিলেন ৮টি আসন। এবার একলাফে ৪৮টি আসনে এগিয়ে। বাজেটে আয়করে ১২ লাখ টাকা পর্যন্ত ছাড় ও ভোটের আগে অষ্টম বেতন কমিশনের ঘোষণা সুবিধা দিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ফলে সাধারণ চাকুরীজীবী ও সরকারি চাকুরেদের ভোট বিজেপিতে গিয়েছে। দিল্লিতে প্রায় সাড়ে চার লক্ষ সরকারি চাকুরে রয়েছেন। কেজরিওয়াল অভিযোগ তুলেছিলেন, যমুনার জল দূষিত করেছে বিজেপি পরিচালিত হরিয়ানা সরকার। তা ধোপে টেকেনি। বরং ২০১৫ সাল থেকে দিল্লিতে ক্ষমতায় থাকা কেজরিওয়াল যে যমুনা নদীর জল পরিষ্কার করতে পারেনি কার্যত তা প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। তারই প্রতিফলন হিসেবে যমুনার ছুঁয়ে যাওয়া আসনগুলিতে বিজেপির এগিয়ে থাকা। খয়রাতির রাজনীতি ইদানীং ভোটে জেতার অন্যতম ট্রেন্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেজরিওয়ালের জনকল্যাণমূলক প্রকল্পকে বন্ধ না করে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পাল্টা প্রতিশ্রুতি দেয় বিজেপি। ফলে তাও কাজে এসেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
দেখুন অন্য খবর: