ওয়েব ডেস্ক: কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে ভীষ্ম পর্বে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ধর্মের কথা স্মরণ করিয়ে দেয় যোদ্ধা অর্জুনকে। ব্যাসের শিষ্য সঞ্জয় দৃষ্টিহীন ধৃতরাষ্ট্রকে ওই যুদ্ধের বর্ণনা দিয়েছিল। আক্ষরিক অর্থে এটা বলাই যায় সঞ্জয়ের বর্ণনাতে গীতার উদ্ভব। যে গীতা পৌরাণিক যুগ থেকেই মানুষের শান্তির পরম আশ্রয়। এবার আরজি কর (R G Kar) হাসপাতালে কর্তব্যরত তরুণী ডাক্তারকে নৃশংসভাবে ধর্ষণ ও খুনে আমৃত্যু কারাদণ্ডের সাজাপ্রাপ্ত ‘অধর্মের’ সঞ্জয়ও (Sanjoy Roy) শান্তির (Peace) খোঁজে জেলে গীতা (Geeta) চাইল। ওই ঘটনায় গ্রেফতার হওয়ার পরও সঞ্জয়ের মধ্যে কোনও হেলদোল ছিল না। শোনা গিয়েছিল, কলকাতা পুলিশকে না কি জেরায় সে জানিয়েছিল ফাঁসি দিলে দিয়ে দিন। ওই জঘন্য ঘটনা ঘটানোর পরও কোনও অনুশোচনা ছিল না। সেই সঞ্জয়ের কি এমন হল যে এতটা রুপান্তর ঘটল, তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে।
প্রেসিডেন্সির জেলের পয়লা বাইশ ওয়ার্ডে ৬ নম্বর সেলে রয়েছে কুখ্যাত সঞ্জয়। সেখানে তাকে কড়া নজরদারিতে রাখা হয়েছে। একবার না কি খাবারও খেতে চাইছিল না। জেলের বাইরে খবরের কাগজ থাকলেও তাতে চোখ বোলায়নি সে। কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে জেলে গীতা চেয়েছে সে। এমনকী এটাও বলেছে যে সংস্কৃত সে পড়তে জানে না। তাই তাকে বাংলায় লেখা গীতা দেওয়া হোক। ঘটনায় কারারক্ষী থেকে জেল কর্তারা সবাই বেশ অবাক। চোরা না শোনে ধর্মের কাহিনী, প্রবাদ থাকলেও জেলে গিয়ে অনেকেই গীতাতে আশ্রয় নেন। গীতা জীবনে পরিবর্তন এনেছে বলেও অনেকে জানান। সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে বিকৃত মানসিকতার অভিযোগ। তার মোবাইল থেকে প্রচুর অশ্লীল ভিডিও পাওয়া গিয়েছে। তার এহেন রূপান্তর নজর কেড়েছে। এর আগে খাতা, পেনও চেয়েছে সঞ্জয়। শোনা যায় গ্রেফতার হওয়া পরে গত সেপ্টেম্বর মাসেও নাকি গীতা চেয়েছিল সে। অবশ্য বলা হয় যা নেই ভারতে তা আছে মহাভারতে। এতসব ঘটনার ঘনঘটা রয়েছে সেখানে। ঠিক যেমন মাঝরাতে হাসপাতালে ঢুকে সঞ্জয়ের ওই অবাক কর্ম করার মতোই। তবে মহাভারতে খুন ও ধর্ষণের ওরকম জঘন্য ঘটনা ঘটেছে কি না গুগল তার উত্তর দিতে পারেনি না। সঞ্জয়ের জীবনে নতুন মহাভারতের রচনা হয় কি না সেটাই দেখার।
আরও পড়ুন: পানিহাটিতে হেলে পড়ল আবাসন, আতঙ্কে বাসিন্দারা
দেখুন অন্য খবর: