কলকাতা: আইএসএফ (ISF) বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী (Nawsad Siddique) গ্রেফতার হয়েছেন অনেকদিন হল। নওশাদের গ্রেফতারির পর থেকেই তাঁর প্রতি প্রচ্ছন্ন সমর্থনের কথা বলেছেন রাজ্য বিজেপি। এমনকী তাঁর মুক্তির দাবিতে রাজ্য বিজেপির (BJP) সংখ্যালঘু সেলের প্রতিনিধিদের পথে নামতেও দেখা গিয়েছিল। এবার আইএসএফের জনপ্রতিনিধি নওশাদ সিদ্দিকী সহ ৮৮ জনকে কারাবন্দি করে রাখার প্রতিবাদ জানালেন বিশিষ্টজনেরা।
রবিবার তাঁরা একটি বিবৃতিতে জানান, “রাজ্যের তরুণ বিধায়কদের অন্যতম ভাঙর থেকে নির্বাচিত আইএসএফ-র জনপ্রতিনিধি মহঃ নওশাদ সিদ্দিকী এবং শাসক দলের বিরুদ্ধে আন্দোলনরত ৮৮ জন মানুষকে একটির পর একটি মামলায় জড়িয়ে কারাবন্দি রাখছে রাজ্য প্রশাসন। রাজনৈতিক অভিসন্ধিমূলক নানা অপবাদের শিকার করতে চাইছে। লক্ষ্য একটাই -আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনকেও বিরোধী দলীয় প্রভাবমুক্ত করা। এটা সংসদীয় গণতন্ত্রের পক্ষে চরম অবমাননাকর এবং রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক।এই মামলায় বন্দি থাকা মানুষদের মধ্যে বহু গ্রামীন শ্রমজীবী, শিক্ষক, চাকুরিজীবী মানুষ আছেন। যাঁদের জীবন-জীবিকা এই ঘটনায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। আমরা অবিলম্বে বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী সহ ৮৮ জন আন্দোলনকারীর মুক্তির দাবি করছি।”
আরও পড়ুন:Rail: আহত ব্যক্তিকে টাকা দিয়েও তা ফিরিয়ে নিল রেল কর্তৃপক্ষ
বিবৃতিতে সই করেছেন, পবিত্র সরকার, সব্যসাচী চক্রবর্তী, অনীক দত্ত, চন্দন সেন (নাট্যকার), ডাঃ কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়, মালিনী ভট্টাচার্য, অধ্যাপক অভিজিত চক্রবর্তী, অধ্যাপক মহালয়া চট্টোপাধ্যায়, বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য, অসিত বসু, সীমা মুখোপাধ্যায়, বিমল চক্রবর্তী, বাদশা মৈত্র, দেবদূত ঘোষ, চন্দন সেন (অভিনেতা), অধ্যাপক অম্বিকেশ মহাপাত্র, অর্ক, দীপালী ভট্টাচার্য, সুপ্রিয় দত্ত, রজত বন্দ্যোপাধ্যায়, দিব্যেন্দু চট্টোপাধ্যায়, পূরবী মুখোপাধ্যায়, অধ্যাপক গাউসাল আজম খান, অধ্যাপক পার্থিব বসু, হিরন্ময় ঘোষাল, অধ্যাপক সইফুল্লা, ডাঃ ফুয়াদ হালিম, মানসী সিনহা, দেবপ্রতিম দাশগুপ্ত প্রমুখ শতাধিক বিভিন্ন ক্ষেত্রের সুপরিচিত ব্যক্তিত্ব।
প্রসঙ্গত, ধর্মতলায় ধুন্ধুমারের ঘটনায় নৌশাদকে প্রথমে হেয়ার স্ট্রিট থানা গ্রেফতার করেছিল। সেই মামলায় পুলিশ হেফাজত কাটিয়ে তিনি যখন জেল হেফাজতে তখন নতুন একটি মামলায় তাঁকে হেফাজতে নেয় লেদার কমপ্লেক্স থানা। এই হেফাজত যেদিন শেষ হয় সেদিন আবার নতুন একটি মামলায় ভাঙড়ের বিধায়ককে হেফাজতে নেয় নিউ মার্কেট থানা। এর মধ্যেই তৃণমূল অভিযোগ করে, একুশের ভোটের আগে নৌশাদ বিজেপি নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন। সংখ্যালঘু ভোট কেটে যেভাবে আসাদউদ্দিন ওয়াইসি বিজেপির সুবিধা করে দেন তেমনই এই রাজ্যে ভূমিকা নিয়েছিলেন নৌশাদরা। এই পরিস্থিতিতেই এদিন আইএসএফ বিধায়কের মুক্তির দাবিতে একটি বিবৃতি প্রকাশ করলেন বিশিষ্টজনেরা।