কলকাতা: শান্তিতে এবং নির্বিঘ্নেই শেষ হল উচ্চমাধ্যমিকে (Higher Secondary Exam 2023) প্রথম দিনের পরীক্ষা (Exam)। মঙ্গলবার ছিল প্রথম ভাষার (First Language) প্রথম পত্রের পরীক্ষা। হল থেকে বেরিয়ে পরীক্ষার্থীরা (Student) খুশি। প্রশ্নপত্র নিয়ে কোথাও কোনও অভিযোগ ওঠেনি।
এবারই প্রথম উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য মেটাল ডিটেক্টর ব্যবহার করা হয় অতি স্পর্শকাতর ২০৬টি কেন্দ্রে। ব্যবহার করা হয়েছে রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ডিটেক্টর বা আরএফডি। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের দাবি, এই প্রথম পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে আরএফডি ব্যবহার করা হল।
আরও পড়ুন: HS Exam 2023 | উচ্চমাধ্যমিকের প্রথম দিনেই দুর্ভোগে পড়া পরীক্ষার্থীদের দিকে এগিয়ে এল মানবিক হাত
এদিন সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য এবং সচিব তাপস মুখোপাধ্যায় কলকাতার বেশ কয়েকটি পরীক্ষাকেন্দ্র পরিদর্শন করেন। পরীক্ষা শুরুর আগে থেকেই পরীক্ষাকেন্দ্রের ভিতরে এবং বাইরে ছিল কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা। পুলিশি বন্দোবস্তও ছিল জোরদার। প্রত্যেকবারের মতো এই বারেও পরীক্ষার্থীদের মোবাইল ফোন নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশে ছিল কড়া নিষেধাজ্ঞা। আগেই বলা হয়েছিল, কোনও পরীক্ষার্থীর কাছে মোবাইল পাওয়া গেলে তাকে সঙ্গে সঙ্গে আরএ করে দেওয়া হবে। মোবাইল ফোন নেওয়া এবং পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন রুখতে সংসদ অনেক আগেই নানা সতর্কতামূলক ব্যবস্থার কথা ঘোষণা করেছিল। মাধ্যমিকের মতো উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষাতেও ভেনু সুপারভাইজার ছাড়া অন্য কারও কাছে মোবাইল রাখা যাবে না বলে জানানো হয়েছিল।
সংসদের নির্দেশিকা মেনে সমস্ত পরীক্ষাকেন্দ্রে পরীক্ষার্থীদের তল্লাশি চালানো হয় মোবাইলের খোঁজে। সংসদের দাবি, গোটা রাজ্যেই কোনও পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে মোবাইল ফোন মেলেনি। সংসদ সভাপতি এবং সচিব কলকাতার সংস্কৃত কলেজিয়েট স্কুলে আরএফডি হাতে নিয়েই ঢোকেন। কারও কাছে মোবাইল বা অন্য কোনও ইলেকট্রনিক গ্যাজেট রয়েছে কি না, তার খোঁজ চালানো হয়। পরে বাইরে বেরিয়ে এসে সংসদ সভাপতি বলেন, পরীক্ষা নির্বিঘ্নে হয়েছে, কোথাও কোনও রকম অভিযোগ পাওয়া যায়নি।স্পর্শকাতর কেন্দ্রগুলিতে বাড়তি নজরদারি ছিল।
এদিনও কোনও কোনও পরীক্ষাকেন্দ্রে পরীক্ষার্থীদের পৌঁছতে দেরি হয়ে যায় নানা কারণে। কোথাও সাধারণ মানুষ, কোথাও পুলিশকর্মীরা সেই পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। অনেকে আবার ভুল করে অন্য পরীক্ষাকেন্দ্রে চলে গিয়েছিল। কেউ কেউ তার জন্য কান্নাকাটিও জুড়ে দেয়। পুলিশ তাদের নিজেদের কেন্দ্রে পৌঁছে দেয়। কেউ কেউ আবার অ্যাডমিট কার্ড আনতেও ভুলে গিয়েছিল। সে ক্ষেত্রেও ভরসা ছিল পুলিশই। বেশ কিছু জায়গায় পরীক্ষার্থীদের অসুস্থ হয়ে পড়ার ঘটনাও ঘটে। তবে প্রাথমিক চিকিৎসার পর সকলেই ভালোভাবে পরীক্ষা দেয়।