কলকাতা: রাজ্য পুলিশের (Westbengal Police) বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ সিবিআই (CBI)। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের (Nisith Pramanik) কনভয়ে হামলার ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। সেই মামলার সূত্রেই সিবিআইয়ের অভিযোগ, রাজ্য পুলিশ তাঁদের সঙ্গে সহযোগিতা করছে না। মামলার নথিপত্র তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে না।
হাইকোর্টের ওই নির্দেশকেই চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য সরকার (State Government)। আদালতে একথা জানান রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল (Advocate General) সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় (Soumendranath Mukhopadhyay)। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব তা শুনে বলেন, যেহেতু এখনও পর্যন্ত শীর্ষ আদালত কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি, তাই এই আদালত চায়, তার নির্দেশকে মান্যতা দেওয়া হোক। এদিকে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কনভয়ে হামলার ঘটনায় অন্য একটি মামলা কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে বিচারাধীন। এর মধ্যেই রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে। এই প্রেক্ষাপটেই বিচারপতি মান্থা নির্দেশ দেন, ২০ এপ্রিল পর্যন্ত এই মামলার তদন্ত স্থগিত থাকবে। নিম্ন আদালতে যাবতীয় বিচার প্রক্রিয়াও স্থগিত থাকবে। সিবিআই (CBI) তদন্তের নির্দেশের পরই নিশীথ তাকে স্বাগত জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, সিবিআই তদন্তে সুবিচার মিলবে। ২৫ ফেব্রুয়ারি আমার কনভয়ে যে হামলা চলেছিল তার যথাযথ বিচার হবে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, দলের রাজ্য মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যও ওই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান। উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ দাবি করেন, নিরপেক্ষ তদন্ত হলে বিজেপিই চাপে পড়বে। তিনি বলেন, ওই দিন নিশীথের দুষ্কৃতী বাহিনীই তৃণমূলের উপর হামলা চালিয়েছিল।
আরও পড়ুন: Adani Groups | আদানি: একটি আশ্চর্য উত্থানের রূপকথা
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি দিনহাটার (Dinhata) বুড়ির হাটে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের কনভয়ে হামলা হয়। ওই দিন ওই এলাকায় মন্ত্রীর পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি ছিল।তিনি জনসংযোগ সারতে বেরিয়েছিলেন। স্থানীয় সূত্রের খবর, অদূরেই তৃণমূলেরও পাল্টা কর্মসূচি ছিল। অভিযোগ, তৃণমূলের ওই কর্মসূচি থেকেই লোকজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কনভয়ে হামলা করে। তাঁর গাড়িতে ভাংচুর চালানো হয়। এমনকি বোমা-গুলিও চলে বলে মন্ত্রীর অভিযোগ। পরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, আমার প্রাণনাশের চেষ্টা হয়েছিল। একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর যদি কোনও নিরাপত্তা না থাকে তাহলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা থাকবে কী করে। তাঁর আরও অভিযোগ, তাঁর কর্মসূচির কথা আগাম জানানো থাকলেও জেলা পুলিশ ওইদিন নিষ্ক্রিয় ছিল।