কলকাতা: আশঙ্কায় সত্যি হল। এসএসকেএম হাসপাতাল (SSKM Hospital) থেকে কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রের (Madan Mitra) নামে অভিযোগ দায়ের হল। ভবানীপুর থানায় (Bhawanipur PS) অভিযোগ করা হয়েছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০৬ ও ৫০৯ ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। মদন মিত্র বলেছিলেন তাঁকে গ্রেফতার করা হতে পারে। তার নামে অবশেষ এফআইআর দায়ের হল। শনিবারই এই অভিযোগ করেছে এসএসকেএম কর্তৃপক্ষ।
এর ফলে আর মুখের কথায় ঝগড়া থেমে থাকল না। তা গড়াল পুলিশ পর্যন্ত। যা মদন মিত্র বনাম এসএসকেএম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সংঘাতকে নতুন মাত্রা পেল বলে মনে করছেন অনেকেই। সেখানে স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গীর অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তবে তাতে থেমে যাননি মদন মিত্র। তিনি পাল্টা বলেছেন, আমাকে জেলে পাঠাক দেখি। কত ক্ষমতা দেখব। উল্লেখ্য, রোগী ভর্তিকে কেন্দ্র করে মদন মিত্রের সঙ্গে এসএসকেএম কর্তৃপক্ষের সংঘাত শুরু হয়। এসএসকেএম হাসপাতালের অধিকর্তা সাংবাদিক বৈঠক করে মদন মিত্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন। মদন মিত্রও সাংবাদিক বৈঠক করে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বকে নিশানা করেন।
আরও পড়ুন: Recruitment Scam Case | ‘কালীঘাটের কাকু’র বাড়ির তল্লাশিতে ইডির হাতে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য
শুক্রবার রাতে দুর্ঘটনায় জখম এক যুবককে এসএসকেএমের ট্রমা সেন্টারে ভর্তি না করা নিয়ে মদন মিত্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি মাঝ রাতে হাসপাতালে হম্বিতম্বি করেন বলে অভিযোগ। তিনি বলেন, এই ট্রমা সেন্টার কারও বাপ-দাদার নয়, রাজ্যের ১০ কোটি মানুষের রক্তের বিনিময়ে তৈরি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের পাল্টা অভিযোগ, মদন মিত্রের দলবল হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের হেনস্তা করেছে। হাসপাতালের অধিকর্তা মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায় শনিবার বলেন, হাসপাতালের কর্মীদের হেনস্তা করা কোনও মতে বরদাস্ত করা হবে না। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। এ ব্যাপারে তিনি জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে চলতে বলেছেন। মদন মিত্র এসএসকেএম হাসপাতালে দালালরাজ চলছে বলে যে অভিযোগ করেছেন, অধিকর্তা তাও খারিজ করে দেন। পরে মদন বলেন, আমরা দলের কেউ হাসপাতালে গিয়ে ঝামেলা করেছে, সেটা দেখাক হাসপাতাল। যদি প্রমাণ করতে পারে, তা হলে সব শাস্তি মেনে নেব। শুনলাম, স্বাস্থ্যকর্মীদের হেনস্তা বন্ধ করতে মুখ্যমন্ত্রী নাকি জিরো টলারেন্স নীতির কথা বলেছেন। মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়ে রাখি, এক স্বাস্থ্যকর্মীর চিকিৎসার জন্যই আমি এসএসকেএম হাসপাতালে গিয়েছিলাম। এই কারণে যদি আমাকে শাস্তি পেতে হয়, আপত্তি নেই। বিধায়ক আরও বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ছেলেটির চিকিৎসার ব্যাপারে মিথ্যে কথা বলেছে। আমাকে শাস্তি দেওয়ার আগে তাদের সাসপেন্ড করতে হবে।