কলকাতা: ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেট ঘিরে দুর্নীতির অভিযোগে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সোমবার ওই নির্দেশ দিয়ে জানান, প্রাথমিকে ২০১৭ সালে দ্বিতীয় নিয়োগ তালিকা সম্পূর্ণ বেআইনি। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্য এবং সচিব রত্না চক্রবর্তী বাগচীকে সোমবারই বিকেল ৫ টার মধ্যে সিবিআই দফতরে হাজির হতে হবে বলে নির্দেশ দেন বিচারপতি। হাজিরা না দিলে সিবিআইকে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বলেছে আদালত। ওই দুজনের বিরুদ্ধে এফআইআর করেও তদন্ত শুরুর নির্দেশ দেন বিচারপতি।
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের আরও নির্দেশ ২০১৭ সালের ৪ জুলাই যে দ্বিতীয় নিয়োগ তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল, তা সম্পূর্ণ বেআইনি। ওই তালিকা থেকে ২৬৯ জনকে নিয়োগ করা হয়। তাঁদের সকলকেই চাকরি থেকে বরখাস্তেরও নির্দেশ দিয়েছে এদিন আদালত।
এর আগে এসএসসি-র গ্রুপ সি, গ্রুপ-ডি এবং নবম দশমের শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রেও বিস্তর দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। সে ব্যাপারে বহু মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় এরকম ৭টি মামলার ক্ষেত্রে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন। স্কুল সার্ভিস কমিশন বা রাজ্য সরকার তার বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে যায়। ডিভিশন বেঞ্চ গঠন করতেও কলকাতা হাইকোর্টকে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়। একাধিক বিচারপতি বেঞ্চের দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করেন। দফায় দফায় বেঞ্চ বদল করেন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব। অবশেষে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি আনন্দ মুখোপাধ্যায়ের বেঞ্চ এই মামলাগুলি শোনে।
আরও পড়ুন- WB Assembly: বিধানসভায় পেশ হল পশ্চিমবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় সংশোধনী বিল
তারও আগে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ ওই দুর্নীতির তদন্তে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রণজিৎকুমার বাগের নেতৃত্বে কমিটি গঠন করেন। ওই কমিটির তদন্তের রিপোর্টেও বিস্তর বেনিয়ম ধরা পড়ে। সম্প্রতি বিচারপতি তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ একক বেঞ্চের রায়ই বহাল রেখে জানান, এসএসসির নিয়োগ দুর্নীতির সিবিআই তদন্ত হবে। সেই তদন্ত ইতিমধ্যেই শুরুও হয়ে গিয়েছে। এবার সিবিআই তদন্তের আতসকাঁচের তলায় এল প্রাথমিক টেটও।