কলকাতা: ঝড়ে কী ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, সে বিষয়ে মুখ্যসচিবের থেকে রিপোর্ট নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার রেমালের জন্য এখনও পর্যন্ত কোথায় কী ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা নিয়ে আলোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। গোটা বিষয়টি নিয়ে মুখ্যসচিবের বি পি গোপালিকার থেকে বিস্তারিত রিপোর্ট নিয়েছেন বলে নবান্ন সূত্রে খবর। এখনও পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় রেমালে প্রাণ গিয়েছে দুজনের। জানা গিয়েছে মতৃ দুজনের মধ্য একজন কলকাতা ও অন্যজন দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসিন্দা।
নবান্ন সূত্রে খবর, রেমালে রাজ্যে ক্ষয়ক্ষতি সব থেকে বেশি হয়েছে সুন্দরবন ব্লকে। এখনও পর্যন্ত রাজ্য জুড়ে ১২০০ এর বেশি বিদ্যুৎ খুঁটি পড়ে গিয়েছে। তার মধ্য ৩০০ এর বেশি ইলেকট্রিক পোল শুধুমাত্র দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায়। সুন্দরবন ব্লকে ৩০০ বাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এখনও নবান্নের তরফে জরুরি ভিত্তিতে চলছে সমীক্ষা। সুন্দরবন ব্লকের একাধিক জায়গায় হাওয়ার গতিবেগ বেশি থাকায় উদ্ধারকাজ করতে সমস্যা হচ্ছে বলেই নবান্ন সূত্রে খবর।
আরও পড়ুন: রেমালের তাণ্ডবে জলমগ্ন শহরের একাংশ, দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ
এদিকে রাজ্য জুড়ে ১৫০০-এরও বেশি ক্যাম্প চলছে। যার মধ্য দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ১০০০ ক্যাম্প চালানো হয়েছে। ঝড়ের জেরে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় লট ৮ এর জেটি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তার জেরে দ্রুত মেরামতি করতে বলা হয়েছে পূর্ত দফতরকে। কলকাতায় যেখানে যেখানে জল জমেছে সেখানে পাম্প চালিয়ে জল বের করা হবে। ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে জেলাশাসকদের থেকে ব্লক ভিত্তিক রিপোর্ট চাইলেন মুখ্যসচিব বিপি গোপালিকা।
দেখুন আরও অন্যান্য খবর: