যাদবপুর: অবশেষে স্থায়ী উপাচার্য পেল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University)। প্রায় সাড়ে তিনমাস পর উপাচার্য পেল যাদবপুর। নতুন উপাচার্য (Vice Chancellor) হলেন ইলেকট্রনিকস ও টেলিকমিউনিকেশন বিভাগের অধ্যাপক ভাস্কর গুপ্ত (Professor Bhaskar Gupta)। রাজ্যের দেওয়া প্রস্তাবিত নামেই সিলমোহর দিয়েছেন আচার্য সি ভি আনন্দ বোস (Governor C V Ananda Bose)।
আরও পড়ুন: কারার ওই লৌহকপাট, ভেঙে ফেল কর রে লোপাট (পর্ব ৪৭)
উপাচার্য হিসেবে মুখ্যমন্ত্রী অনুমোদিত নামের মধ্যে ভাস্কর গুপ্ত নাম ছিল। গত ২০ এপ্রিল রাজভবনে ভাস্কর গুপ্তকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন আচার্য সিভি আনন্দ বোস। সেই সময় ভাস্কর গুপ্ত জানিয়েছিলেন উপাচার্য পদের দায়িত্ব নিতে তাঁর কোনও আপত্তি নেই। তারপরেই শীলমোহর দিয়েছেন আচার্য বোস।
আচার্যের এহেন পদক্ষেপে খুশি রাজ্যে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু তথা শিক্ষা দপ্তর। আচার্যকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। খুব শীঘ্রই রাজ্যের অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য এইভাবে নিয়োগ হবে বলে আশাবাদী শিক্ষামন্ত্রী। নিজের এক্স হ্যান্ডালে পোস্ট করে সে কথা জানালেন শিক্ষামন্ত্রী।নতুন ভিসি নিয়োগ হতেই আচার্যকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)।
— Bratya Basu (@basu_bratya) April 22, 2024
আরও পড়ুন: ভোটের চাঁদা না দেওয়ায় তৃণমূল বন্ধ করে দিল রিসর্টের গেট, অভিযোগ জলপাইগুড়িতে
উল্লেখ্য, গত ২৪ ডিসেম্বর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন অনুষ্ঠানের আগের সন্ধ্যায় আচার্য সি ভি আনন্দ বোস অপরসারণ করেন অস্থায়ী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউকে। গুঞ্জন ওঠে, আচার্য বোসের নির্দেশ অমান্য করে সমাবর্তন করছিলেন তিনি। এরপর থেকে কার্যত উপাচার্যহীন অবস্থায় ছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপাল বিরোধের জল গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। গত ১৭ এপ্রিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত নির্দেশ দেয়, দ্রুত ছ’টি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ করতে হবে। রাজ্যের পাঠানো তালিকা থেকেই এই নিয়োগ করতে হবে বলে দেওয়া হয় নির্দেশ। এরপর আজ আচার্য বোস যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসাবে রাজ্যের প্রস্তাবিত ভিসি ভাস্কর গুপ্তকেই নিয়োগ করলেন।
বিচারপতি সূর্যকান্ত ও বিচারপতি কে ভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চ রাজ্য সরকারের অধীন ৩১টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বাকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগের জন্য সুপ্রিম কোর্ট রাজ্য সরকারকে রাজ্যপালের কাছে বাছাই করা কিছু নামের তালিকা পাঠাতে বলেছে। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা আশাপ্রকাশ করেছেন, রাজ্য সরকারের দেওয়া নতুন তালিকা থেকে রাজ্যপাল আরও কয়েকজনকে উপাচার্য নিয়োগ করতে পারবেন। যে সব বিশ্ববিদ্যালয় বাকি থাকবে, সেগুলির জন্য সুপ্রিম কোর্ট একটি সার্চ কমিটি গড়তে পারে বলেই জানা যাচ্ছে। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ৩০ এপ্রিল।
আরও খবর দেখুন