কলকাতা: গঙ্গাসাগর মেলা কি হবে এই বছর ? এ বিষয় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানা যাবে আগমিকাল, বৃহস্পতিবার ।
গঙ্গাসাগর মেলা বন্ধের দাবিতে জনস্বার্থ মামলা কলকাতা হাই কোর্টে। মামলা করলেন অভিনন্দন মণ্ডল নামে এক চিকিৎসক। ওই মামলার শুনানি চলছে আজ কলকাতা হাইকোর্টে।
অর্ডার : ৬-১৬জানুয়ারি পর্যন্ত গঙ্গাসাগর মেলা উপলক্ষে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে তাঁরা কি কি পদক্ষেপ নিয়েছেন এবং কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন বৃহত্তর মানুষের স্বার্থে তাঁদের স্বাস্থ্যের জন্য ।কারন চিকিৎসক আক্রান্ত, আমি আশাকরি রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে আগামীকাল অর্থাৎ ব্রিহস্পতিবার তাঁরা তাঁদের সিদ্ধান্ত ২টোর মধ্যে জানাবেন। গঙ্গাসাগর মেলা ১৯৭৬ সালের আইন অনুযায়ী মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেই বিষয়টি আগে নিশ্চিত করতে হবে।
এজি: আমরা এমন কোন সিদ্ধান্ত নেব না যেখানে মানুষের ক্ষতি হতে পারে। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে করোনা বিধি মেনে চলার নির্দেশ জারি করা হয়েছে গঙ্গাসাগরে। আমাদের একটা দিন সময় দেওয়া হোক। মানুষের স্বার্থ আগে দেখবেন রাজ্য সরকার।তাই প্রয়োজনে রাজ্য সরকার গঙ্গাসাগর মেলা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিতে পিছুপা হবে না ।
সিজে: এডভোকেট জেনারেল কে বলেন আগে মানুষের স্বার্থের কথা ভাবতে হবে।কারণ তৃতীয় ঢেউ আসন্ন। মানুষের জীবন নিয়ে কোন ভাবেই ক্ষতির সম্মুখীন হতে দিতে পারি না।
চিকিৎসক ফোরামের আইনজীবী : সারা রাজ্যে সরকারি হসপিটালের চিকিৎসকদের আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৪০০ – ৫০০
চিকিৎসক ফোরামের পক্ষের আইনজীবী : সাগরে একটাও মেডিক্যাল কলেজ নেই। মানুষ আক্রান্ত হলে কোথায় চিকিৎসা হবে?
সিজে: মহাশয় এজি, দেখুন খতিয়ে মেলা করবেন কি করবেন না।সেই মত কাল আদালতকে জানান
শ্রীজীব: ৩৭২৮ স্কোয়ার মিটার এলাকা
সিজে: রাজ্যের একটা দায়িত্ব আছে। এই পরিস্থিতি তে মনে করলে প্রয়োজনে মেলা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
এজি: এটা একটা আইল্যান্ড
সিজে: কত এলাকা জুড়ে মেলা হচ্ছে?
এজি: শেষ মেলায় ৮ লাখ মানুষের সমাগম হয়েছিল। ইতিমধ্যেই মানুষ আসতে শুরু করেছেন।
দুপুর ২.৩৯- এর পরই প্রশ্ন করা হয় রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলকে । জানতে চাওয়া হয়, মেলায় কত মানুষের সমাগম হবে বলে মনে করছেন?
দুপুর ২.৩৮- আইনজীবীর দাবি, শুধু পশ্চিমবঙ্গের মানুষ নয়, গঙ্গাসাগর মেলায় আসেন ভিন রাজ্যের মানুষ ।
করোনা বিধি অনুযায়ী, প্রত্যেক মানুষের জন্য ফেস মাস্ক, স্যানিটাইজার, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে পুলিশ-প্রশাসনকে বেশি সক্রিয় হতে হবে । প্রচার অভিযান চালিয়ে যেতে হবে । তা ছাড়া আরও সমস্যা রয়েছে । লাখ লাখ মানুষের শৌচাগারের ব্যবস্থা করতে হবে । মনে রাখতে হবে, এই শৌচাগার করোনা সংক্রণের অন্যতম কারণ ।
তাই আদালত এই মেলা বন্ধের নির্দেশ দিক আদালত।
দুপুর ২.৩৩- গঙ্গাসাগর মেলায় শুধু সাধু-সন্ন্যাসী আসবেন এমন নয়। সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রচুর শিশুও আসে, থাকেন তাদের পরিবারের সদস্যরা । গত বছর ই-স্নান অনুমতি ছিল গঙ্গাসাগর মেলার ক্ষেত্রে । এ বছর তা নয় কেন ?
দুপুর ২.৩০- রাজ্যে করোনার নতুন স্ট্রেন ওমিক্রন ঢুকে পড়েছে । ইতিমধ্যে আক্রান্ত ১৭ জন । ময়দানে বিপুল পরিমাণ মানুষের সমাগম ঘটে । ইতিমধ্যেই পুণ্যার্থীরা আসতে শুরু করে দিয়েছেন । এই পরিস্থিতিতে লাখ লাখ মানুষের গঙ্গায় স্নান কি যুক্তিসঙ্গত? প্রশ্ন তুললেন আইনজীবী
দুপুর ২.২০- শ্রীজীবের আরও মন্তব্য,
১) রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গঙ্গাসাগর মেলা মামলায় চিকিৎসক সংগঠনকে পার্টি করা হয়নি।
২) মামলাকারীর পক্ষ থেকে আইনজীবী জানান, করোনা অতিমারিতে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বেশ কিছু সেফ হোম, কনটেনমেন্ট জোন করা হয়েছে ।
৩) গঙ্গাসাগর মেলা দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মেলা, যেখানে ৫০-৮০ লক্ষ মানুষের সমাগম ঘটে ।
৪) গত ২৫ ডিসেম্বরের পর থেকে রাজ্যের করোনা গ্রাফ বাড়ছে । রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে নির্দেশিকা জারি করে সরকারি-বেসরকারি অফিসে হাজিরা ৫০ শতাংশ করা হয়েছে । ট্রেন বাসে ভিড় নিয়ন্ত্রণে বেশ কিছু পদক্ষেপ করা হয়েছে ।
৫) রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণ ৯ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে । শুধু গঙ্গাসাগর নয়, কলকাতায় বিভিন্ন এলাকায় পুণ্যার্থীদের আনাগোনা শুরু হয়েছে । যেখানে রাজ্যের আক্রান্তের ৫০ শতাংশই কলকাতার বাসিন্দা ।
৬) একদিকে রাজ্য সরকারের কঠোর বিধিনিষেধ, অন্যদিকে গঙ্গাসাগর মেলার অনুমতি । এটা রাজ্য সরকারের দ্বিচারিতা ছাড়া কিছু নয় ।
৭) চারধাম যাত্রা ইতিমধ্যেই বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার । এর পরই তাঁর প্রশ্ন, এই পরিস্থিতিতে কী ভাবে গঙ্গাসাগর মেলার অনুমতি দিল রাজ্য সরকার ।
দুপুর ২.১৭- শ্রীজীব আরও বললেন, রাজ্য করোনা নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে । রাজ্যের মানুষকে ভাল রাখার দায়িত্ব সরকারের । সে জন্য মেলা বন্ধ রাখা দরকার ।
দুপুর ২.১৬ – তিনি বললেন, বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রচুর সাধু ভিড় জমান মেলায়।
দুপুর ২.১৫- আবেদনকারীর আইনজীবী শ্রীজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কুম্ভ মেলার পর সব থেকে বড় মেলা গঙ্গাসাগর মেলা । মেলা কি আদৌ হবে ? হাই কোর্টে শুরু হল শুনানি । মেলায় কম করে দশ লাখ মানুষ ভিড় করেন । মঙ্গলবারই আক্রান্ত হন দশ হাজারের বেশি মানুষ ।