মেদিনীপুর: এবার বিজেপি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ (Whatsapp Group Left) ছাড়লেন খড়গপুরের বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায় (Hiran Chaterjee)। মঙ্গলবার রাতেই তিনি গ্রুপ ছেড়েছেন বলে জানা গিয়েছে। বুধবার ফোনে তিনি গ্রুপ ছাড়ার (BJP Whatsapp Group leaves) স্বীকারোক্তি জানিয়েছেন। সূত্রের দাবি, দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে গ্রুপ ছেড়েছেন তিনি৷ এ বিষয়ে দিলীপ ঘোষের মন্তব্য “বিষয়টা সাংগঠনিক নেতৃত্বরা দেখবেন। এমন অনেক বিধায়ক গ্রুপ রয়েছে, যেগুলোর খোঁজ আমিও রাখি না।”
খড়গপুরের বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে জল্পনা ইতিপূর্বেই ছিল। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও তাঁর অনুগামীদের সঙ্গে হিরণের দূরত্ব তৈরি হওয়ার জল্পনা ছিল কয়েক মাস ধরে। এরপরে মঙ্গলবার রাতে হিরণ বিজেপির বিভিন্ন গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। বাড়তে থাকে জল্পনা।
হিরণ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের হাত ধরে বিজেপিতে যোগদান করছি৷ বঙ্গ বিজেপির সঙ্গে তেমন কোনও সম্পর্ক নেই। তাই বঙ্গ বিজেপির কোনও গ্রুপে কাজ নেই বলেই গ্রুপ ছেড়েছি।”
এ দিকে বুধবার সকাল থেকেই একাধিক কর্মসূচিতে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ মেদিনীপুর শহরে উপস্থিত ছিলেন। হিরণ ইস্যুতে তিনি বলেন- “আমার কাছে এমন বিজেপি বিধায়কের দশটা গ্রুপ রয়েছে৷ যেগুলো আমি নিজেও ভালো করে দেখি না। ফলে, কে কোথায় ছাড়ছে, থাকছে৷ তা আমার জানা নেই। বিষয়টা সাংগঠনিক নেতৃত্বরা দেখবেন।”
খড়গপুরে হিরণ ও দিলীপ ঘোষের পৃথক কর্মসূচি-দূরত্বের বিষয়ে দিলীপের বক্তব্য, “সাংগঠনিক নেতৃত্বরা যেমন কর্মসূচি দেন তাতে যোগদান করি। যা কর্মসূচি দেওয়া হয় তাতে তিনি যোগদান করেন। অন্য কোনও সমস্যা নেই।”
আরও পড়ুন-১৪ নয়, জ্বর না এলে ৭ দিনেই শেষ আইসোলেশন জানাল স্বাস্থ্যমন্ত্রক
একইসঙ্গে মঙ্গলবার বিজেপির একদল নেতৃত্বদের পৃথক বৈঠকের জল্পনা ছড়িয়েছে বিভিন্ন এলাকায়। সে বিষয়েও দিলীপ ঘোষের বলেন-“বৈঠক করতেই পারেন, কেউ কোথাও চা খেতে যেতে পারেন। সবাই আমার মত প্রকাশ্যে রাস্তার ধারে বৈঠক করবে, এমন তো হয় না। সে বৈঠকে যেহেতু আমি ছিলাম না ফলে আমি বলতে পারব না কে কেন বৈঠক করেছে।”
বুধবার সকাল থেকে মেদিনীপুর শহরে চা চক্র কর্মসূচিতে যোগদান করার পর দিলীপ ঘোষ পৌর নির্বাচনের আগের দেওয়াল লিখন কর্মসূচির উদ্বোধন করেন নিজে হাতে। পরে সাংসদ কোটার অর্থানুকূল্যে একটি বাস যাত্রী প্রতীক্ষালয় উদ্বোধন করেন মেদিনীপুর শহর সংলগ্ন রাঙ্গামাটি এলাকায়। এরপর শহরের শ্যামসংঘ হলে পৌর নির্বাচনের আগে কর্মীদের নিয়ে সাংগঠনিক বৈঠকে বসেন তিনি।