কলকাতা: রান্নাঘর তুমি কার? শাশুড়ি না বউমার? তা নিয়ে দ্বন্দ্ব এবার পৌঁছল আদালতে। খোদ কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা রুজু হল। রান্নাঘরের সমস্যার সমাধান করবে কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police), নির্দেশ হাইকোর্টের। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের (Justice Tirthankar Roy) নির্দেশ, রান্নাঘর কার সেই বিষয়ে কলকাতা পুলিশকে উপযুক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে মামলাটির নিস্পত্তিও করে দেন তিনি।
আবেদনকারী অঞ্জু রায়ের (৬২) দাবি, তাঁর রান্নাঘর থেকে সমস্ত সামগ্রী জোর করে বাইরে ফেলে দেওয়া হয়েছে। তাঁকে রান্নাঘরের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। ফলে বর্তমানে তিনি ছোট্ট শোওয়ার ঘরেই রান্না করে দিনযাপন করছেন। চিৎপুর থানায় অভিযোগ জানিয়েও কাজ না হওয়ায় রান্নাঘরের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীকেও জানিয়েছেন অঞ্জু দেবী।
আরও পড়ুন: বাংলার শাড়িকে বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরবে আম্বানি গোষ্ঠী: মুখ্যমন্ত্রী
২০২৩ সালের ২ অগাস্ট স্বামীকে হারান অঞ্জু রায়। তিন কন্যাসন্তান ও এক পুত্রের জননী তিনি। কন্যাসন্তানরা প্রত্যেকেই বিবাহিত। পুত্র বিশ্বজিৎ রায় সংলগ্ন একটি বাড়িতে পৃথকভাবে বাস করেন তাঁর স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে। অভিযোগ, পুত্র ও পুত্রবধূ প্রায়শই নগদ অর্থ ও গয়নার অংশ দখলের জন্য তাঁর উপর চাপ সৃষ্টি করত। সেখানেই তাঁরা শুধু থেমে থাকেননি। একমাত্র রান্নাঘরটিও দখল করে নিয়েছেন। অঞ্জু দেবী জানিয়েছেন, পুলিশকে অভিযোগ জানিয়ে কোনও কাজ হয়নি। সিনিয়র সিটিজেন আইন অনুযায়ী, এই রান্নাঘরের সুবিধা তাঁর পাওয়ার কথা।
বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের মন্তব্য, রান্নাঘর নিয়ে দ্বন্দ্ব কলকাতা হাইকোর্টে! এই সমস্যার সমাধান তো পুলিশই করতে পারবে। তাঁর নির্দেশ, চিৎপুর থানার পুলিশকে (Chitpur PS) এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে রান্নাঘরের অধিকার অঞ্জু রায়ের নাকি বিশ্বজিৎ রায়ের স্ত্রীর হবে? আইনজ্ঞ মহলের মতে, বর্তমান সমাজে সাংসারিক দ্বন্দ্ব এমন জায়গায় পৌঁছেছে যেখানে রান্নাঘর নিয়েও উচ্চ আদালতকে বিচারের জন্য সময় ব্যয় করতে হচ্ছে।
দেখুন অন্য খবর: