কলকাতা: করোনা (CoronaVirus) মোকাবিলায় প্রস্তুত রাজ্য সরকার, নবান্নে (Nabanna) সাংবাদিক বৈঠকে এমনটাই দাবি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee)। বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানান, প্রতিদিন রাজ্যে দেড়শোর মতো রিপোর্ট হচ্ছে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মৃদু উপসর্গ বলে জানা যাচ্ছে। এখন বিভিন্ন হাসপাতালে ৯ জন রোগীকে অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে। ভেন্টিলেশনে কোনও রোগী নেই। রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই একটি নির্দেশিকা জারি করেছে। যাঁদের কো-মর্বিডিটি আছে তাঁদের সতর্কতা হিসেবে মাস্ক পরা এবং ভিড়ে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। একইসঙ্গে করোনা মোকাবিলায় রাজ্যের কী কী ব্যবস্থা রয়েছে, এদিন সেটিও সবিস্তার তুলে ধরেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ৩০ হাজার ইমারজেন্সি বেড রয়েছে। এছাড়া আরও ৪ হাজার সিসিইউ-এইচডিইউ বেডও আছে। আমরা প্রস্তুত আছি।
আরও পড়ুন:Mamata Banerjee | ‘হাম ঝুকেঙ্গে নেহি’, ‘পুষ্পা’র ডায়ালগ মমতার মুখে
দেশজুড়ে চোখ রাঙাচ্ছে করোনা। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে করোনা সংক্রমণের বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। মাস্ক ফেরানোর বিষয় জোর দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, পরিস্থিতির উপরে নজর রাখুন। আতঙ্ক না ছড়িয়ে প্রতিরোধমূলক প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে হবে। পুরসভাগুলিকে স্যানিটেশনের কাজে যুক্ত করতে হবে। এদিকে এই পরিস্থিতে আগাম সতর্কতা অবলম্বন করেছে নবান্ন। ইতিমধ্যেই রাজ্যের তরফে জারি করা হয়েছে এক নির্দেশিকা। সেই নির্দেশিকায় বেশকিছু বিষয়ে বিশেভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
১)একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। সেই নির্দেশিকায় বেশকিছু বিষয়ে বিশেভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
২)ভিড় এড়িয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। বিশেষত শিশু ও বয়স্কদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত সাবধানতা অবলম্বন করা প্রয়োজন।
৩) যেখানে বেশি মানুষের উপস্থিতি, সেখানে সেখানে প্রবেশ করার আগে অবশ্যই মাস্ক পরুন।
৪) হাত সাবান দিয়ে ধোয়া বা স্যানিটাইজার ব্যবহার করার অভ্যাস করতে হবে।
৫) হাঁচি বা কাশির সময় রুমাল দিয়ে মুখ ঢেকে রাখতে হবে।
৬) যাঁরা অন্য কোনও রোগে ভুগছেন অথবা বয়স্ক কিংবা অন্তঃসত্ত্বা, তাঁদের বেশি করে সাবধানে থাকতে হবে। জ্বরে আক্রান্ত এমন ব্যক্তিদের ব্যক্তিদের কাছ থেকে দূরে থাকুন।
৭) কোভিডের প্রিকশন ডোজ় না নেওয়া হয়ে থাকলে অবশ্যই নিন।
৮) জ্বর, গলা ব্যাথা, সর্দি বা কাশির মতো উপসর্গ দেখা দিলে কোভিড পরীক্ষা করানো জরুরি।