Thursday, July 3, 2025
Homeকলকাতারাজ্যে ফিরছে বিধান পরিষদ

রাজ্যে ফিরছে বিধান পরিষদ

Follow Us :

এবারের বিধানসভা ভোটের প্রার্থী তালিকা থেকে দলের একাধিক পুরানো মুখ বাদ দিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ক্ষমতায় ফিরলে বিধান পরিষদ  গঠন করবেন৷ সেই পরিষদে বাদ যাওয়া মুখেদের অনেককেই ফিরিয়ে আনা হবে। এবার নিজের সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যে বিধান পরিষদ তৈরির প্রক্রিয়া শুরু করলেন তিনি। সোমবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে বিধান পরিষদ গঠনের প্রস্তাবে সিলমোহর পড়েছে।

১৯৬৯ সালে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা থেকে বিলুপ্ত হয় বিধান পরিষদ। যুক্তফ্রন্ট সরকারের আমলে তুলে দেওয়া হয় সেই ব্যবস্থা।  ৫০ বছর বাদে ফের সেই বিধান পরিষদ ফিরতে চলেছে৷  এই বিধান পরিষদ  কী? এর গুরুত্ব ঠিক কতটা? এখানে কতজন সদস্য থাকেন?

বিধান পরিষদ কী ?

ভারতের সংসদে যেমন লোকসভা এবং রাজ্যসভা দুটি কক্ষ থাকে, তেমনি সংবিধানে রাজ্যের আইনসভাতেও দুই কক্ষের নিয়ম আছে। আইনসভার নিম্নকক্ষ হল বিধানসভা এবং উচ্চকক্ষ হল বিধান পরিষদ। রাজ্যসভার সঙ্গে বিধান পরিষদের  অনেকাংশেই মিল রয়েছে। তবে, এই বিধান পরিষদ রাজ্য সরকারগুলি চাইলে অবলুপ্ত করতে পারে, আবার তৈরিও করতে পারে।

বিধান পরিষদের কাজ কী?

অর্থবিল ছাড়া রাজ্য বিধানসভায় পেশ হওয়া সব বিল এখানে পাশ করাতে হয়। আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রেও এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। তবে বিধান পরিষদ কোনও সরকার গঠন বা ভেঙে দেওয়ায় ভূমিকা নিতে পারে না। তবে, রাজ্যের মন্ত্রিসভা শুধুমাত্র বিধানসভার কাছেই দায়বদ্ধ থাকে।

বিধান পরিষদের সদস্য সংখ্যা:

ভারতীয় সংবিধানের ১৭১ নম্বর ধারায় রয়েছে, বিধান পরিষদের সদস্য সংখ্যা রাজ্য বিধানসভার সদস্য সংখ্যার এক তৃতীয়াংশের বেশি হবে না। আবার তা ৪০-এর কমও থাকবে না। বিধান পরিষদের সদস্যদের মেয়াদ ৬ বছর। তবে, প্রতি দু’বছর পর এক তৃতীয়াংশ সদস্য অবসর নেবেন।

কীভাবে সদস্য নির্বাচন হবে?

এক তৃতীয়াংশ সদস্য নির্বাচন করেন রাজ্যের বিধায়করা। আর এক তৃতীয়াংশ সদস্য নির্বাচন করেন পঞ্চায়েত, পুরসভা, পুরনিগমের সদস্যরা। এক ষষ্ঠাংশ সদস্য নির্বাচিত হন রাজ্যের স্নাতকদের ভোটের মাধ্যমে। স্নাতক হওয়ার সঙ্গে ভোটারদের ওই রাজ্যে ৩ বছরের বেশি বসবাস করতে হয়। বাকি এক ষষ্ঠাংশ নির্বাচিত হবেন শিক্ষকদের ভোটে। তাঁদেরও ওই রাজ্যে ৩ বছরের বেশি বসবাস করতে হয়।

কীভাবে তৈরি হবে বাংলার বিধান পরিষদ?

রাজ্য মন্ত্রিসভায় প্রস্তাব পাশ হয়ে গিয়েছে।  এবার এই প্রস্তাব যাবে বিধানসভায়। সেখানে বিধান পরিষদ তৈরির প্রস্তাব পাশ হলে তা যাবে রাজ্যপালের কাছে। রাজ্যপালের অনুমোদন পেলে সংসদ ভবনে এই প্রস্তাব পাঠানো হবে।  সংসদে প্রস্তাব পাশ হলে রাষ্ট্রপতির সম্মতি লাগবে। রাষ্ট্রপতি আইন সংশোধনের প্রস্তাবে সায় দিলে তবেই রাজ্যের আইনসভায় বিধান পরিষদ তৈরি হবে।

এই মুহূর্তে দেশের ছটি রাজ্যে বিধান পরিষদ আছে। সেগুলি হল, কর্ণাটক, তেলেঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, বিহার এবং উত্তরপ্রদেশ।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular


Deprecated: Automatic conversion of false to array is deprecated in /var/www/ktv/wp-content/themes/techinfer-child/functions.php on line 39