অমৃতসর: নাগালে এসেও ফের ‘উধাও’ পঞ্জাব পুলিশের (Punjab Police) ঘুম ওড়ানো খলিস্তানপন্থী (Pro Khalistan) নেতা অমৃতপাল সিং (Amritpal Singh)। তার মধ্যেই ‘পলাতক’ নেতার প্রথম ভিডিয়ো বার্তা। পুলিশের অনুমান, ১০ দিন ধরে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ‘ওয়ারিশ পঞ্জাব দে’র পলাতক নেতা অমৃতপাল অমৃতসরেই (Amritsar) রয়েছে। যে কোনও মুহূর্তে স্বর্ণমন্দির (Swarna Mandir) কর্তৃপক্ষের কাছে আত্মসমর্পণ করতে পারে। মঙ্গলবার রাতে পুলিশ তাকে প্রায় ঘিরে ফেললেও সিনেমার দৃশ্যের মতোই সে পালিয়ে যায়।
ওয়েব সিরিজের মতোই পরতে পরতে রোমাঞ্চ অমৃতপাল রহস্যে। সিজন ২-তে প্রকাশ্যে এল খলিস্তানপন্থী নেতার প্রথম ভিডিয়ো বার্তা। কালো পাগড়ি এবং গায়ে শাল জড়ানো অবস্থায় অমৃতপাল ভিডিয়ো বার্তায় বলেছে, রাজ্য সরকার তাকে যদি গ্রেফতার করতে চায়, তাহলে তারা যেন তার বাড়িতে আসে। সে ধরা দেবে। ভিডিয়ো বার্তায় অমৃতপাল বৈশাখীতে (শিখ ধর্মীয় অনুষ্ঠান) সরবত খালসার (শিখ সংগঠনগুলির ষান্মাসিক অধিবেশন) আহ্বান জানিয়েছে। দেশ এবং দেশের বাইরে থাকা শিখ সংগঠনগুলিকে শিখদের ইস্যু নিয়ে আলোচনার ডাক দিয়েছে। অকাল তখতের জাঠেদারকে এ ব্যাপারে নেতৃত্বদানের আবেদন জানিয়েছে অমৃতপাল।
আরও পড়ুন: Microsoft | Security Copilot | সাইবার অ্যাটাক ঠেকাতে মাইক্রোসফট সিকিউরিটি কোপাইলট
বার্তায় বলেছে, সে খুব ভালো আছে। তার মনোবলে এতটুকুও চিড় ধরেনি। গুরুর কৃপায় পুলিশের নাগাল থেকে বেঁচে গিয়েছে। পঞ্জাব পুলিশ সাধারণ শিখ যুবকদের গ্রেফতার করেছে বলেও সে অভিযোগ করে। তার এই ভিডিয়ো নিয়ে তদন্ত করছে পুলিশ। এটা কবে রেকর্ডিং করা, কোথায় করা সেসব খতিয়ে দেখছেন পুলিশের পদস্থ আধিকারিকরা। সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে হোশিয়ারপুর থেকে অমৃতসরে ঢোকার চেষ্টা করছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ওই এলাকা ঘিরে ফেলে পুলিশ। কিন্তু, একটি চেকপোস্টের কাছ থেকেই চম্পট দেয় অমৃতপাল। এই ঘটনায় ফের পঞ্জাব পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তার অমৃতসরে ফিরে আসার খবরে স্বর্ণমন্দির ও অকাল তখতের (Akal Takht) কাছে ব্যাপক পুলিশি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পুলিশের কাছে খবর আছে যে, সে খুব শীঘ্রই স্বর্ণমন্দিরে গিয়ে আত্মসমর্পণ করতে পারে। কারণ এর আগেই শিখ ধর্মাবলম্বীদের প্রবন্ধক কমিটি অমৃতপালকে আত্মসমর্পণের পরামর্শ দিয়েছিল।
সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, অমৃতপাল উত্তরাখণ্ডের কয়েকজনের কাছে আশ্রয় চেয়েছিল। কিন্তু, তারা সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ায় অমৃতপালকে অমৃতসরেই ফিরতে হয়। পঞ্জাবের একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের কাছে ধরা দিতেও চেয়েছিল অমৃতপাল। মঙ্গলবার রাতে পুলিশ যখন তার নাগালের কাছাকাছি চলে এসেছিল, তখন সে একটি গুরুদ্বারের কাছে গাড়ি ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পুলিশ তখন স্থানীয় ওই গ্রাম ছাড়াও সব রাস্তা বন্ধ করে দিলেও তাকে ধরতে পারেনি।