কলকাতা: নবম-দশমে নিয়োগ পরীক্ষায় ওএমআর শিটের বিকৃতি মামলায় নয়া মোড়। তা প্রকাশ করায় সামাজিক সম্মান হানি হয়েছে বলে ১২ জন শিক্ষক মামলায় অন্তর্ভুক্ত হতে চেয়ে আবেদন করেছেন বুধবার। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায় অবশ্য সেই আবেদন পত্রপাঠ খারিজ করে দেন। তাঁর পর্যবেক্ষণ, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জটিলতা সৃষ্টির জন্যই এই ধরনের আবেদন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, আদালতের নির্দেশেই বিকৃত ওএমআর শিটের (Omr sheet) তালিকা প্রকাশ করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন (ssc)। তাতে বহু কারচুপি প্রকাশ্যে আসে। সিবিআই (CBI) তদন্তে ধরা পড়ে, ওএমআর শিটে ব্যাপক কারচুপি করা হয়েছে। দেখা যায়, স্কুল সার্ভিস কমিশনের সার্ভারের (Server) মেধা তালিকার সঙ্গে গাজিয়াবাদের মাদার সার্ভারের ওএমআর তথ্যের কোনও মিল নেই। কোথাও ৩ থেকে বাড়িয়ে ৪৩ করা হয়েছে, আবার কোথাও শূন্য নম্বরকে বাড়িয়ে ৪৩ করা হয়েছে। সর্বোচ্চ নম্বর হচ্ছে ৪৫। সেখানে অধিকাংশ প্রার্থীই পেয়েছেন ৪৩। কটাক্ষ করে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় মন্তব্য করেছিলেন, এর থেকে কম নম্বর আর দেওয়া যায়নি। এরপরই বিচারপতি নির্দেশ দেন, স্কুল সার্ভিস কমিশনকে এই ওএমআর শিটের তালিকা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে। সেইমতো কমিশন সেই তালিকা প্রকাশ করে।
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় এদিন জানান, স্কুল সার্ভিস কমিশন ওএমআর শিটের তালিকা প্রকাশের কারণ জানে। এই মামলার সঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) জড়িত। কমিশনের সার্ভারের সঙ্গে গাজিয়াবাদের সংস্থার মাদার সার্ভারের ওএমআর তথ্যের মিল নেই। তাঁর মতে, ওয়েবসাইটে ওএমআর শিটের তালিকা প্রকাশের কারণে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হননি। তিনি জানান, এমন মামলার জন্য নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিশৃঙ্খলা (Chaos) তৈরি হতে পারে। এর জন্য মামলাকারীদের এক টাকা করে প্রতীকি জরিমানা (Fine) করা হল।
Omr sheet: ওএমআর শিট প্রকাশ করার বিরুদ্ধে মামলার আবেদন খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্ট
Follow Us :