কলকাতাটিভি ডিজিটাল: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার (Prodhanmantri Awas Yojana) সমীক্ষার (Survey) কাজ গিয়ে হেনস্তার শিকার হওয়ার ঘটনা বাড়ছে। পাকা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও নিয়ম বহির্ভূতভাবে সরকারি বাড়ির (Government House) জন্য আবেদন (Application) করেছেন অনেকে। সেই সব নাম বাদ দেওয়ার জন্য প্রমাণ রাখতে ছবি তুলতে গিয়ে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে হেনস্তার শিকার হতে হচ্ছে। শনিবারও তার অন্যথা হয়নি। এদিন সকালে হুগলির (Hoogly) গোঘাট থানার (Goghat PS) মদন মোহনপুর এলাকায় পঞ্চায়েত কর্মীরা হেনস্তার শিকার হন। গোঘাট থানার পুলিশ অভিযুক্ত হারাধন সরকারকে আটক করেছে।
সকালে গোঘাট গ্রাম পঞ্চায়েতের কর্মী শুভদীপ জালাল (Shubhadwip Jalal) সহ বেশ কয়েক জন কাটালির মদন মোহনপুর এলাকায় সমীক্ষার কাজে যান। সেই সময় হারাধন সরকার নামে এক ব্যক্তি তাঁদের কাজ বন্ধ করে দেন বলে অভিযোগ। শুভদীপ জানিয়েছেন, তাঁদের পাকা বাড়ির ছবি মুছে দেওয়ার জন্য জোর করা হয়।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার সমীক্ষার কাজ থেকে অব্যাহতি চেয়ে শনিবার ধূপগুড়ি ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিককে (Dhupgudi Block Health Officer) স্মারকলিপি (Deputation) দিল আশাকর্মীরা। পশ্চিমবঙ্গ আশা স্বাস্থ্যকর্মী ইউনিয়নের ধূপগুড়ি ব্লকের সদস্যদের দাবি, আবাসন পাওয়ার উপযুক্ত অনেক নাম তালিকায় নেই। আবার নাম বাদ দিতে গিয়ে নানান সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তাঁদের। এই সমীক্ষার কাজে নিযুক্ত করায় গর্ভবতী মা ও শিশুদের নিয়ে যে কাজ করেন তাতে ক্ষতি হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ আশা স্বাস্থ্যকর্মী ইউনিয়নের ধূপগুড়ি ব্লকের সভানেত্রী হাসিনা বানু বলেন, এই কাজ আগামী সাত দিনের মধ্যে বন্ধ করা না হলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে করব।
আরও পড়ুন: Tmc Leader Rape Victim: এক স্থানীয় নেত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ তৃণমূল ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে, ঘটনায় মুর্শিদাবাদে রাজ্য মহিলা কমিশন
অন্যদিকে, বিভিন্ন এলাকায় চাপের মুখে আবাস যোজনার তালিকা থেকে রাজনৈতিক নেতাদের (Political LEADER) আত্মীয়দের নাম বাদ দেওয়ারও হিড়িক পড়েছে। এদিন কল্যাণীর মহকুমা শাসক (SDO) হীরক মণ্ডল সগুনা গ্রামে য়ান। সগুনা পঞ্চায়েতের প্রধান প্রবীর হালদারের পাকা বাড়ি রয়েছে গ্রামে। আবাস যোজনার তথ্য যাচাইয়ে আসা সরকারি কর্মীদের কাছে তথ্য পেশ করেন প্রধান নিজেই। সেখানেই ওই প্রধানের ভাই প্রদীপ হালদারের নাম বাতিল করেন মহকুমা শাসক।
প্রশাসন সূত্রে খবর, কল্যাণী বিধানসভা কেন্দ্রে প্রায় ৬০০০ উপভোক্তার নাম রয়েছে। প্রতিটা বাড়িতেই চলবে তথ্য যাচাই। এদিন সগুনায় ছয়টি বাড়িতে তথ্য যাচাই করেন সরকারি আধিকারিকরা। তার মধ্যে দুটি বাড়ি আবাস যোজনার তালিকা থেকে বাদ যায়।