নয়াদিল্লি: বিচারপতি নিয়োগ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার (Central Government) এবং সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) কলেজিয়ামের (Collegium) মধ্যে বিরোধ চলছে বেশ কিছুদিন ধরে। এর মধ্যেই উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhakhar) এবং কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজুর (Kiren Rijiju) বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা (PIL) দায়ের হয়েছিল। সেই মামলার শুনানিতে রাজি হল বম্বে হাইকোর্ট। জানা গিয়েছে, ধনখড় এবং রিজিজুর বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলার শুনানি হতে পারে আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি।
কেন এই জনস্বার্থ মামলা?
বিচারপতি নিয়োগ নিয়ে দুই পক্ষের টানাপড়েনের মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) পূর্বতন রাজ্যপাল বলেছিলেন, জনগণের ভোটে নির্বাচিত আইনসভার সদস্যদের পাশ করা আইনকে ‘অসাংবিধানিক’ বলছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court), এমন নজির বিশ্বের আর কোথাও নেই। দীর্ঘ দুই দশক ধরে চলছে কলেজিয়াম পদ্ধতি। কিন্তু ২০১৫ সালে তা বদলাতে উদ্যোগী হন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে তিনি বিচারবিভাগীয় নিয়োগ কমিশন গড়া শুরু হয়। সংসদ এবং ১৬টি রাজ্যের বিধানসভায় এই মর্মে বিলও পাশ হয়ে যায়। কিন্তু সেই বিলকেই ‘অসাংবিধানিক’ আখ্যা দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ।
আরও পড়ুন: TMC Inner Clash Birbhum: মুখ্যমন্ত্রীর বীরভূমের কোর কমিটি গঠন করে জেলা ছাড়তেই গোষ্ঠীদ্বন্ব তৃণমূলের
জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar) তা নিয়েই ওই মন্তব্য করেন। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী (Union Law Minister) বারবার কলেজিয়াম ব্যবস্থা নিয়ে বিষোদগার করে চলেছেন। রিজিজুর দাবি, কলেজিয়ামের নিয়োগে সমাজের সর্বস্তরের মানুষের যোগদান নেই। এমনকী এই প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন তিনি।
কেন্দ্রের দাবি, গণভোটে নির্বাচিত সরকারেরই বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা থাকা উচিত। কিন্তু কলেজিয়াম তা মানছে না। তারা নিজেদের পদ্ধতিতে বিচারপতি নিয়োগের জন্য নাম প্রস্তাব করে চলেছে। কিন্তু স্বভাবতই সে প্রস্তাবে সায় দিতে গড়িমসি করছে কেন্দ্র। কলেজিয়ামের অভিযোগ, এই গড়িমসির কারণেই বহু শূন্যপদ থেকে যাচ্ছে এবং তাতে বিলম্বিত হচ্ছে বিচার প্রক্রিয়া।