জম্মু: রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ (Bharat Jodo Tatra) শ্রীনগরে (Srinagar) পৌঁছবে ২৬ জানুয়ারি (26 January)। তার আগেই নবগঠিত কংগ্রেসছুট গুলাম নবি আজাদের (Ghulam Nabi Azad) দলে তুষারধস। ‘হাত’ ছেড়ে যাঁরা আজাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করেছিলেন, তাঁরা ঘর ওয়াপসি করছেন। এর মধ্যে রয়েছেন জম্মু-কাশ্মীরের উপ মুখ্যমন্ত্রী তারাচাঁদ। শুক্রবার সকালে পুরনো দলে ফেরার ঘোষণা করেন চাঁদ ছাড়াও প্রাক্তন মন্ত্রী পিরজাদা মহম্মদ সইদ, মনোহর লাল এবং বলবন সিং।
আজাদের অনুগামী এই নেতারা ডেমোক্র্যাটিক আজাদ পার্টি (DAP) গঠনের দিন থেকে গান্ধী পরিবারের বিরোধী হিসেবে কংগ্রেস ত্যাগ করেন। এরপর নতুন দল গঠনের পরেই আজাদ আবার এই তিন নেতাকে দলবিরোধী কাজের জন্য বহিষ্কার করেন। এই তিন নেতাই গত অগাস্ট মাসে আজাদের সঙ্গে হাত মেলান পাঁচ দশকের কংগ্রেস সম্পর্ক ত্যাগ করে। এদিন ফের দলের সাধারণ সম্পাদক কে সি বেণুগোপাল, জয়রাম রমেশের উপস্থিতিতে তাঁরা কংগ্রেসে প্রত্যাবর্তন করেন।
আরও পড়ুন: Weather Report: ফের পারদপতন রাজ্যজুড়ে, মরশুমের শীতলতম দিনের নতুন রেকর্ড শুক্রবার
তাঁদের স্বাগত জানিয়ে বেণুগোপাল বলেন, একটা ভুল বোঝাবুঝির জন্য তাঁরা কিছুদিনের জন্য সরে গিয়েছিলেন। কিন্তু, এখন তাঁরা আবার সেই ভুল বুঝতে পেরে দলে ফিরে আসছেন। হাসির ছলে তিনি বলেন, এমনটাও মনে করে নিতে পারেন যে, তাঁরা দুমাসের জন্য ছুটিতে ছিলেন। ছুটি শেষ, আবার তাঁরা ঘরে ফিরলেন।
এই তিনজন ছাড়াও প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ও তিনবারের মন্ত্রী পিরজাদা মহম্মদ সইদ, মহম্মদ মুজফফর পারায়ে, মহিন্দর ভরদ্বাজ, ভূষণ ডোগরা, বিনোদ শর্মা, নরিন্দর শর্মা, নরেশ শর্মা, অম্বরীশ মাগোত্রা, সুভাষ ভগত, সন্তোষ মনহাস, বদ্রীনাথ শর্মা, বরুণ মাগোত্রা, অনুরাধা শর্মা, বিজয় তারগোটরা এবং চন্দ্রপ্রভা শর্মা।
এদিন জয়রাম রমেশ জানান, এটা তো প্রথম দফার যোগদান। অপেক্ষা করুন, আরও বেশ কিছু নেতা কংগ্রেসে ফিরবেন। বেণুগোপাল বলেন, জম্মু-কাশ্মীরে সমমনোভাবাপন্ন আরও কিছু দল রাহুলের পদযাত্রায় যোগ দেবেন। ভারত জোড়ো যাত্রা ইতিমধ্যেই দেশের বড় আন্দোলনে পরিণত হয়েছে। এটা তো সবে শুরু। কাশ্মীরে যখন যাত্রা প্রবেশ করবে, তখন দেখবেন যারাই কংগ্রেসের নীতি-আদর্শে বিশ্বাস করে তারাই হাত বাড়িয়ে দিয়েছে আমাদের দিকে।