কলকাতা: এর আগে মুখে তিনি বারবার বলেছেন। ২০১৮ সালে এই রাজ্যে ভোট করতে দেয়নি শাসকদল। বিরোধীরা (Opposition) মনোনয়ন জমা দিতে পারেনি। তাঁদের হুমকির মুখে পড়তে হয়েছে। মনোনয়ন দিয়েও তুলে নিতে হয়েছে। অভিযোগ পুলিশের (Police) একাংশ শাসকদলের হয়ে কাজ করছে। তাই এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি জানাচ্ছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী (Adhirranjan Choudhury)।
আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হতে চলেছেন অধীর চৌধুরী। পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Vote) কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force) মোতায়েন করার আবেদন জানানো হবে। তাঁর অন্যান্য দাবিগুলির মধ্যে রয়েছে মনোনয়নপত্র যাতে অনলাইনে পেশ করা যায়, সেই বন্দোবস্ত করুক রাজ্য নির্বাচন কমিশন। পাশাপাশি BDO বা SDO র কাছে মনোনয়নপত্র পেশ করতে সমস্যা হলে সেটা যেন রাজ্য নির্বাচন কমিশন বা জেলা বিচারকের কাছে পেশ করার সুযোগ মেলে। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করে মামলা দায়েরের অনুমতি চাইবেন কংগ্রেস নেতা এবং আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী। এমনটাই কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: Aajke | পঞ্চায়েত নির্বাচনের বাজনা বেজে গেল, জিতবে কারা?
বৃহস্পতিবারই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশিত হয়েছে। ৮ জুলাই এক দফায় পঞ্চায়েত ভোট। ফল ঘোষণা হবে ১১ জুলাই। নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা সাংবাদিক বৈঠকে জাানান, এবারও এক দফায় হতে চলেছে রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোট। শুক্রবার থেকে মনোনয়ন শুরু হবে, শেষ হবে ১৫ জুন। ২০ জুন মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই আদর্শ আচরণবিধি চালু হয়ে গেল। কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এখনও এ বিষয়ে কিছু ভাবা হয়নি। পরিস্থিতি বিচার করে ভোটের নিরাপত্তা নিয়ে রাজ্য সরকারকে জানানো হবে। দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ে দ্বিস্তরীয় এবং রাজ্যে বাকি সর্বত্র ত্রিস্তরীয় ভোট হবে।
এবার ৩৩১৭টি গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট আসন ৬৩ হাজার ২২৯টি। ৩৪১টি পঞ্চায়েত সমিতিতে মোট আসন ৯ হাজার ৭৩০টি। এছাড়া জেলা পরিষদে রয়েছে ৯২৮টি আসন। মোট ভোটারের সংখ্যা ৫ কোটি ৬৭ লক্ষ ২১ হাজার ২৩৪। ভোট গ্রহণ শুরু হবে সকাল ৭টা থেকে। চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। কোনও সর্বদলীয় বৈঠক না ডেকেই কেন ভোটের দিন ঘোষণা করা হল। উত্তরে রাজীব বলেন, আইনে কোথাও বলা নেই যে সর্বদলীয় বৈঠকের পর ভোটের দিন ঘোষণা করা হবে।