বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া: বুধবার সকাল থেকেই বাঁকুড়া জেলার ১৫টি স্থানে জাতীয় ও রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহলের। সাঁওতালি মাধ্যমে পঠনপাঠনের পরিকাঠামো গঠন সহ ন’দফা দাবিতে বাঁকুড়া (Bankura) জেলার বিভিন্ন রাস্তায় পথ অবরোধ শুরু করল আদিবাসীরা।
আজ আদিবাসীদের সামাজিক সংগঠন ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহলের নেতৃত্বে এই অবরোধ শুরু হয়। রানিগঞ্জ-বিষ্ণুপুর ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের বড়জুড়ি, হেভির মোড় সহ বিভিন্ন জায়গায় এই অবরোধ শুরু হওয়ায় জাতীয় সড়কে যান চলাচল স্তব্ধ হয়ে যায়। অবরোধের জেরে বাঁকুড়া-দুর্গাপুর রাজ্য সড়ক, বাঁকুড়া-ঝাড়গ্রাম রাজ্য সড়ক, বাঁকুড়া-রানিবাঁধ রাজ্য সড়ক, বিষ্ণুপুর-আরামবাগ রাজ্য সড়ক সহ জেলার একাধিক রাজ্য সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: Aadhaar Card: পরিবার প্রধানের সম্মতি মিললেই আধারের ঠিকানা বদল অনলাইনে, জানুন কীভাবে!
ভারত জাকাত মাঝি পারগনা মহল পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির ডাকে ১২ ঘন্টার পথ অবরোধ পুরুলিয়া (Purulia) জেলা জুড়েও। সাঁওতালি ভাষায় শিক্ষা বোর্ড গঠন করা, বন্ধ হওয়া আদিবাসী হস্টেলগুলো চালু, বীরভূমে দেউচা পাচামিতে খোলামুখ কয়লা খনি প্রকল্প বাতিল, অযোধ্যা পাহাড়ে টুর্গা বান্দু পাম্প স্টোরেজ প্রকল্প বাতিল সহ একাধিক দাবি নিয়ে এই অবরোধের ডাক দেওয়া হয়েছে। সকাল থেকেই জেলার ৮টি স্থানে পথ অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহল।সব জায়গায় প্রচুর পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। পুরুলিয়ার বরাকর রাজ্য সড়কের উপর নিতুরিয়া থানার অন্তর্গত হরিডি মোড়েও অবরোধ শুরু হয়েছে।
ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহল (Bharat Jakat Majhi Pargana Mahal) আজ, বুধবার ১২ ঘণ্টার চাক্কা জ্যামের (Chakka Jam) ডাক দিয়েছে। এর ফলে হুগলি, পশ্চিম মেদিনীপুরের একাংশ, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূম ছাড়াও উত্তরবঙ্গের আদিবাসী প্রভাবিত এলাকাগুলিতে সড়কপথে যান চলাচল স্তব্ধ হওয়ার আশঙ্কা।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির ডাকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে মহলের পক্ষ থেকে তোলা দাবিগুলি পূরণ না হওয়ায় বাধ্য হয়ে তারা রাজ্যব্যাপী সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পথ অবরোধ (Road Blocked) করবে। এর ফলে গোটা রাজ্যেই এর ব্যাপক প্রভাব পড়তে চলেছে বলে আশঙ্কা।
তাদের দাবিগুলির মধ্যে রয়েছে বীরভূমের দেওচা পাচামিতে (Deucha Pachami) খোলামুখ কয়লা খনি বাতিল করতে হবে। পৃথক সাঁওতালি শিক্ষা বোর্ড গঠন করতে হবে। সাঁওতালি মাধ্যমের স্কুলে অবিলম্বে স্থায়ী শিক্ষক ও পার্শ্ব শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে। বনাধিকার আইন কঠোরভাবে লাগু, প্রত্যেক জেলায় সাঁওতালি মাধ্যমের কলেজ স্থাপনের দাবি সহ আরও বেশ কিছু দাবি নিয়ে আন্দোলনে নামতে চলেছে তারা।