নয়াদিল্লি: দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর (Lieutenant Governor of Delhi) ভি কে সাক্সেনা (VK Saxena) জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (JNU) ছাত্র সংসদের প্রাক্তন সহ সভাপতি এবং আইসার সদস্য (AISA) শেহলা রশিদের বিরুদ্ধে মামলা করার অনুমতি দিলেন। রশিদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর বিরোধী টুইট (anti-Army tweets) করার বহু পুরনো অভিযোগ রয়েছে। লেফটেন্যান্ট গভর্নরের দফতর থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শেহলা রশিদের বিরুদ্ধে মামলার অনুমতি দিলেন ভি কে সাক্সেনা। ভারতীয় সেনাবাহিনীকে (Indian Army) তীব্র আক্রমণ করে এর আগে তিনি দুটি টুইট করেছিলেন। যাতে সম্প্রীতি নষ্ট এবং দুটি ভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতা সৃষ্টির উসকানি ছিল।
২০১৯ সালে রশিদের বিরুদ্ধে একটি এফআইআর হয়। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩এ ধারায় দিল্লি পুলিশের বিশেষ শাখায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়। এর ভিত্তিতে শেহলা রশিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের হয়। তিনি তাঁর টুইটে ভারতীয় সেনার বিরুদ্ধে জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) বাড়ি বাড়ি ঢুকে নির্বিচারে আটক করার অভিযোগ তুলেছিলেন। একটি টুইটে শেহলা লিখেছিলেন, কাশ্মীরে সশস্ত্র বাহিনী রাতে বাড়িতে ঢুকে অল্পবয়সি ছেলেদের তুলে নিয়ে যায়। বাড়ি ভেঙে তছনছ করে। ঘরের নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য ও জিনিসপত্র আছড়ে ভেঙে ফেলে। চালের মধ্যে তেল ঢেলে দেয়। ২০১৯ সালের অগাস্টে করা এই টুইটের কারণে তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর হয়। সেই সময় তিনি জেএনইউয়ের ছাত্র সংসদের সহ সভাপতি ও আইসার সদস্য ছিলেন।
আরও একটি টুইটে তিনি লেখেন, সোপিয়ানে জিজ্ঞাসাবাদের (অত্যাচার) নামে ৪ যুবককে ধরে নিয়ে যাওয়া হয় সেনা শিবিরে। তাদের সামনে একটি মাইক রাখা ছিল। যাতে গোটা এলাকা তাদের চিৎকার শুনে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। এর ফলে গোটা এলাকা ভয়ে গুটিয়ে যায়। কিন্তু, শেহলার এইসব অভিযোগ সেনার পক্ষ থেকে নাকচ করে দেওয়া হয়। এরপরই তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দিল্লি পুলিশ আবেদন জানায় এবং যাতে সিলমোহর দেয় দিল্লি সরকারের স্বরাষ্ট্র দফতর।