রাজ্যে এই মরসুমে ডেঙ্গি (dengue) আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার ছুঁই ছুঁই। কলকাতাতেও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। মৃত্যুর ঘটনাও সামনে আসছে। যা উদ্বেগ বাড়িয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে কলকাতায় ডেঙ্গি রোধে কলকাতা পুরসভার ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে ৯ নম্বর বোরো অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখাল সিপিএমের গণ সংগঠনগুলি। সেখানে অংশ নিয়ে প্রাক্তন মেয়র পারিষদ এবং সিপিএম নেতা ফৈয়াজ খান একহাত নিয়েছেন বর্তমান মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে।
ফৈয়াজ বলেন, কলকাতায় ডেঙ্গিতে মানুষের মৃত্যু ঘটছে। আর কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম (firhad hakim) বীরভূমের গরু চোরকে বাঘ বলছেন। তাঁর অভিযোগ, কলকাতা পুরসভায় প্রায় ৩০ হাজার শূন্যপদ রয়েছে। ডেঙ্গির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য যে শক্তি দরকার তা নেই পুরসভায়। তাই কর্মীর অভাবে আরও বেশি বাড়ছে ডেঙ্গি প্রকোপ। আমলাদের কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। তাঁরা নিরুপায়।
আরও পড়ুন: High Court: আদালতে জয় পেলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রাথমিক চাকরিপ্রার্থীরা
এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিধানসভা কেন্দ্রে ৯ নম্বর বরোর সামনে বিক্ষোভ দেখায় সিপিএমের গণসংগঠনগুলি। তাতে যোগ দেন সিপিএমের ছাত্র-যুব সংগঠন এসএফআই ও ডিওয়াইএফআইয়ের কর্মীরাও। তাঁদের অভিযোগ, মেয়র ফিরহাদ হাকিম এবং কলকাতা পুরসভা ডেঙ্গি রোধ করতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছেন। ফলে অনেক মায়ের কোল খালি হয়ে যাচ্ছে।
মেয়র ফিরহাদ হাকিম ফৈয়াজের (faiyaz khan) দাবি প্রসঙ্গে বলেন, বামফ্রন্ট আমলে পুরসভায় কোনও কাজ হত না। শুধু দুর্নীতি আর স্বজনপোষণ চলত। কলকাতার মানুষ জানে ডেঙ্গি মোকাবিলায় পুরসভা কী করেছে। সিপিএমের পায়ের তলায় মাটি নেই আবোল তাবোল বকছেন দলের নেতারা।
ফৈয়াজের অভিযোগ, করোনার মতোই পুরসভা শহরে ডেঙ্গির তথ্যও গোপন করছে। কতজন আক্রান্ত, কতজনের মৃত্যু হচ্ছে সেসম্পর্কে সঠিক তথ্য দেওয়া হচ্ছে না। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের সঙ্গেও পুরসভা কোনও পরামর্শ করছে না। গোটা কলকাতায় আবর্জনা নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় না। তার জন্যই ডেঙ্গি বাড়ছে বলে প্রাক্তন মেয়র পারিষদের অভিযোগ।