দত্তপুকুর: নীলগঞ্জের (Nilganj) বাজি কারখানায় অপেক্ষাকৃত কম ক্ষমতাসম্পন্ন বিস্ফোরক মজুত ছিল বলে দাবি করলেন এডিজি (ADG) (দক্ষিণবঙ্গ) সিদ্ধিনাথ গুপ্তা। সোমবার সিদ্ধিনাথ জেলার অন্য পুলিশ (Police) কর্তাদের নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গেও কথা বলেন। পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এডিজি জানান, অকুস্থলে কম ক্ষমতাসম্পন্ন বিস্ফোরক ছিল বলেই প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে।
এদিকে প্রধান বিরোধী দল বিজেপির অভিযোগ, দত্তপুকুরের বিস্ফোরণের সঙ্গে জঙ্গি যোগাযোগও থাকতে পারে। তারা ঘটনা এনআইএ তদন্ত দাবি করেছে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ইতিমধ্যে এনআইএ তদন্তের দাবিতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন সোমবারই। আগামীকাল মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে সেই মামলার শুনানি হওয়ার কথা। দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার রবিবার বিকেলেই এনআইএ তদন্ত চেয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি দিয়েছেন।
আরও পড়ুন:শব্দবাজি ছেড়ে সবুজবাজি তৈরি করুন, টিএমসিপির সমাবেশে বার্তা মমতার
উল্লেখ্য, গতকালের বিস্ফোরণে এখনও পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ৯ জন। আহত হয়েছেন একাধিক। আহতদের কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে, পুলিশ যে আট জনের নামে এফআইআর করেছে তার মধ্যে বাজি কারখানার মালিক কেরামত আলি সহ চার জনই পুড়ে মারা গিয়েছেন।
এদিন ঘটনাস্থলে যান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি, পুলিশ এবং শাসকদলের স্থানীয় বিধায়ক সহ অন্য নেতারা সব জানতেন। তাঁদের মধ্যে বখরার ভাগাভাগিও হত। বিরোধী নেতা বলেন, এর সঙ্গে জঙ্গি যোগাযোগও রয়েছে। শুধু তাই নয়, ঘটনাস্থলে প্রচুর পরিমাণ উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বিস্ফোরক মজুত ছিল, যার জন্য বিস্ফোরণ এত ভয়াবহ আকার নিয়েছে।
ইতিমধ্যে, ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা। সেই সব নমুনার প্রাথমিক পর্যালোচনাও চলছে। জানা গিয়েছে, সোমবার দুপুর ১.৪০ মিনিট নাগাদ এনআইএ-এর দুই আধিকারিক ঘটনাস্থলে যান। কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে তাঁদের কথা বলতে দেখা যায়। তারপর খুব কম সময়ের মধ্যে তাঁরা প্রাথমিকভাবে দুর্ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন।