দীর্ঘ ১১ ঘণ্টা তল্লাশি চালিয়ে ইডি অফিসাররা শনিবার বারাসতে তাপস মণ্ডলের বাড়ি ছাড়লেন। তাঁরা বাড়ি থেকে বেশ কিছু নথি নিয়ে গিয়েছেন। একই সঙ্গে তাপসের একটি এবং ছেলে বীজেশের একটি মোবাইলও বাজেয়াপ্ত করে ইডি। তবে তাপস বাড়ি ছিলেন না। তিনি হরিদ্বারে রয়েছেন বলে ছেলে জানিয়েছেন। ইডির অফিসাররা তাঁর সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। তাপসকে ২০ অক্টোবর সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরার জন্য নোটিস দেওয়া হয়েছে। ছেলে জানান, বাবা ওইদিন হাজিরা দেবেন এবং তদন্তে সব রকমের সাহায্য করবেন।
এদিন সকাল থেকে ইডি তাদের হেফাজতে থাকা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি এবং তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের একাধিক ঘনিষ্ঠের বাড়ি এবং অফিসে অভিযান চালায়। সল্টলেক, মহিষবাথান, কলেজ স্কোয়ার, বারাসত-সহ ছটি জায়গায় ম্যারাথন তল্লাশি চলে। ইডি সূত্রের দাবি, বারাসতের তাপস মানিকের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। বারাসত, মহিষবাথান, সল্টলেকে তাঁর একাধিক কোচিং সেন্টার রয়েছে। ইডির সন্দেহ, এই সব সেন্টার থেকে বেআইনিভাবে চাকরি দেওয়ার চক্র চালানো হত। এদিন সল্টলেকে মানিকের একটি অফিসেও অভিযান চালায় ইডি। সেই অফিসের গেট তালাবন্দি ছিল। চাবিওয়ালা ডেকে সেই তালা ভাঙা হয়।
আরও পড়ুন: Metro Rail: বউবাজারে মদন দত্ত লেনের বাড়িগুলির পরীক্ষা করবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়
বারাসতে এসএফআই এবং ডিওয়াইএফ এদিন তাপসের বাড়ির সামনে তাঁর গ্রেফতারির দাবিতে বিক্ষোভ দেখায়। সিপিএমের ছাত্র-যুব নেতাদের অভিযোগ, গোটা তৃণমূল দলটাই আকণ্ঠ দুর্নীতিতে নিমজ্জিত। কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে সব বেরিয়ে পড়ছে। ওই নেতারা দাবি করেন, এই দুর্নীতির জাল একেবারে কালীঘাট পর্যন্ত বিস্তৃত। এর প্রতিবাদে সারা রাজ্যে তাঁদের আন্দোলন জারি থাকবে।