কলকাতা: আদালতের নির্দেশ মেনে রাজ্য শিক্ষা দফতর (Education Department) স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC) ১৬৯৪ জন গ্রুপ-ডি কর্মীর তালিকা প্রকাশ করল। অভিযোগ, এই প্রার্থীদের বেআইনিভাবে নিয়োগ করা হয়েছিল। ওই চাকরিপ্রাপকদের সম্পর্কে জেলা স্কুল পরিদর্শকদের খোঁজ নিতে নির্দেশ দিয়েছিল আদালত (Calcutta High Court)। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় আগেই গ্রুপ ডি কর্মী নিয়োগ নিয়ে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল। সিবিআই তদন্তে নেমে ওই ১৬৯৪ জনের ওএমআর শিটে (OMR Sheet) কারচুপির সন্ধান পায়।
গত ২২ ডিসেম্বর কলকাত হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু শিক্ষা দফতরকে ওই ১৬৯৪ জনের তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দেন স্কুল শিক্ষা দফতরকে। সেই নির্দেশ মেনেই সোমবার শিক্ষা দফতর (Education Department) তাঁদের তালিকা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে। ২০১৮ সালে নিয়োগে কারচুপি নিয়ে মামলা হয়েছিল। লিপিকা সাধুখাঁ বনাম পশ্চিমবঙ্গ সরকার (State vs Lipika Sadhukhan) মামলাতেই তালিকা প্রকাশ করে শিক্ষা দফতর জানিয়ে দিল, ওই নিয়োগ বেআইনিভাবে হয়েছিল।
আরও পড়ুন: Sourav Ganguly – Dona Ganguly : রাজনীতিতে কি দেখা যাবে সৌরভকে? উত্তর দিলেন ডোনা
এর আগে প্রাথমিকের ক্ষেত্রেও ওএমআর শিটে কারচুপি ধরা পড়ে। তাতেও বহু বেআইনি চাকরি হয়। আদালতের নির্দেশ মেনে সেই তালিকাও প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ (Primary Education Council)। ওয়েবসাইটে সেই তালিকা প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই তাতে নাম থাকা অনেক শিক্ষক স্কুলে আসা বন্ধ করে দিয়েছেন। জেলায় জেলায় এমন অনেক ঘটনা ঘটেছে। আদালত নির্দেশ দিয়েছিল, কারা কোন স্কুল চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের বাবার নাম কী, তাও জানাতে হবে। আদালত মনে করে, এর ফলে এলাকার মানুষ সব জানতে পারবেন। আদালতের মন্তব্য ছিল, নিয়োগ নিয়ে যে পরিমাণ দুর্নীতি হয়েছে, তা সামাজিক অপরাধ ছাড়া কিছু নয়। আদালত বলেছিল, এই অপরাধ প্রকাশ্যে আসা উচিত।
 স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC) ১৬৯৪ জন গ্রুপ-ডি কর্মীর তালিকা প্রকাশ করল। অভিযোগ, এই প্রার্থীদের বেআইনিভাবে নিয়োগ করা হয়েছিল। ওই চাকরিপ্রাপকদের সম্পর্কে জেলা স্কুল পরিদর্শকদের খোঁজ নিতে নির্দেশ দিয়েছিল আদালত (Calcutta High Court)। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় আগেই গ্রুপ ডি কর্মী নিয়োগ নিয়ে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল।){kind=link}