কালীপুজোয় ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস রয়েছে। রাত পোহালেই আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। এ নিয়ে ইতিমধ্যেই পুজো মণ্ডপগুলিকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে রাজ্য সরকার। সেই সঙ্গে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের মোকাবিলায় সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে রাজ্যের দমকল দফতর। দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু শনিবার বিধাননগর এক সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, পরিস্থিতি মোকাবিলায় অগ্নি নির্বাপন এবং আপৎকালীন বিভাগ তৈরি আছে। উপকূল এলাকার উপরে বাড়তি নজরদারি থাকবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ২৪ ও ২৫ অক্টোবর এই ঝড়ের প্রভাব দেখা দেবে। প্রধানত দক্ষিণবঙ্গের দুই ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে ঘূর্ণিঝড়ের সবথেকে বেশি প্রভাব পড়বে বলে জানানো হয়েছে। রয়েছে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা। সেই সঙ্গে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, পশ্চিম মেদিনীপুরেও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে। বইবে ঝোড়ো হাওয়া। এই দুর্যোগের মোকাবিলায় আগামী কয়েকদিন দমকল দফতরের সমস্ত কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। এছাড়াও ৪৬টি বিশেষ দল তৈরি করা হয়েছে। কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলেই যাতে তারা ঝাঁপিয়ে পড়ে মোকাবিলা করতে পারে।
আরও পড়ুন: Unnatural Death: বিষ্ণুপুরে বিজেপি নেত্রীর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার, মৃত্যু ঘিরে রহস্য
২৪ ঘণ্টা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা হবে বলেও জানান দমকলমন্ত্রী। এছাড়াও খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। এই দুর্যোগের মধ্যেই যেহেতু কালীপুজো রয়েছে, তাই পুজো উদ্যোক্তাদের বিশেষভাবে সতর্ক করা হয়েছে। এই সময়ে কোনওরকম অসুবিধায় পড়লে ফোন করতে পারেন ০৩৩-২২২৭৬৬৬৬/ ০৩৩-২২৫২১১৬৫/ ০৩৩-২২৫২৬১৬৪ এই নম্বরে।
সোম এবং মঙ্গলবার ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস থাকলেও রবিবার সকালেই আকাশের মুখ থমথমে। পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হচ্ছে নিম্নচাপ। তা শক্তি বাড়িয়ে সোমবার গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে আছড়ে পড়বে ডাঙায়।