বিজেপির রাজ্য নেত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যু (unnatural death) ঘিরে রহস্য তৈরি হয়েছে। শনিবার দুপুরে বিজেপির মহিলা মোর্চার রাজ্য কমিটির সদস্য তথা বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার মহিলা মোর্চার আহ্বায়ক ঝুমা গোস্বামীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ইদপুর ব্লকের ছত্রবাইদ গ্রামের বাড়িতে। ইদপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। পুলিশ এবং বিজেপি নেতৃত্বের একাংশের ধারণা, তিনি আত্মহত্যা করেছেন। কিন্তু কী কারণে আত্মহত্যা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
সম্প্রতি ঝুমাকে বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার মহিলা মোর্চার আহ্বায়ক (convenor) করা হয়। স্থানীয় সূত্র্রের খবর, এদিন ঝুমার স্বামী নিজের কাজে বাড়ির বাইরে ছিলেন। ছেলে টিউশনে গিয়েছিল। তিনি একাই বাড়িতে ছিলেন। ছেলে বাড়ি ফিরে ঘরের মধ্যে মাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। প্রতিবেশীদের সাহায্যে গলার ফাঁস খুলে ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে মৃতদেহ বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয় ময়না তদন্তের (post mortem) জন্য। সেখানে যান স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রি শেখর দানা, বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিল্বেশ্বর সিংহ-সহ অন্য নেতারা।
বিজেপি নেতৃত্বের একাংশের দাবি, ১৪ সেপ্টেম্বর নবান্ন অভিযানে পুলিশের তাড়া খেয়ে পড়ে গিয়েছিলেন ঝুমা। তারপর থেকেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। সে কারণে তিনি আত্মঘাতী হয়ে থাকতে পারেন। আবার বাঁকুড়ার বিধায়ক নীলাদ্রি বলেন, ওই নেত্রীর রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্খা ছিল খুব। তার জন্যও এই ঘটনা ঘটতে পারে। পুলিশ জানায়, ময়না তদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত মৃত্যুর কারণ জানা যাবে না।
আরও পড়ুন: Madhya Pradesh High Court: ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্তের সাজার মেয়াদ কমাল আদালত
গত বছরখানেক ধরে বিভিন্ন জেলায় বেশ কয়েকজন বিজেপি নেতা ও কর্মীর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। বিজেপির অভিযোগ, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ভোট পরবর্তী হিংসার কারণে এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে।