কলকাতা: রাজ্যের সমস্ত সংশোধনাগারে চার সপ্তাহের মধ্যে জ্যামার ও ফুল বডি ইলেকট্রনিক্স স্ক্যানার (Full Body Electronic Scanner) বসাতে হবে। সোমবার বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ (Divison Bench) এই নির্দেশ দিয়েছে।২০২২ সালের অক্টোবর মাসে জলঙ্গি থেকে তাজবুল শেখ ও সুকুর মণ্ডল নামের দুই যুবককে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল।তাদের বিরুদ্ধে মাদক মামলা চলছে আদালতে। এদিন সেই মামলাতেই জামিনের আবেদনের শুনানি ছিল।এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই রাজ্যের সমস্ত সংশোধনাগারে নজরদারি কড়াকড়ি করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট(Calcutta High Court)।
আদালতে শুনানি চলাকালীন সরকারি আইনজীবী রুদ্রদ্বিপ্ত নন্দী বলেন, তাজবুল ও সুকুর মাদক ব্যবসায় পারদর্শী। সংশোধনাগার (Jail) থেকে গোপনে ফোনের মাধ্যমে ওরা ব্যবসা চালায়। মাদক ব্যবসায় এক অভিযুক্তের সঙ্গেও দুই যুবকের যোগসূত্র পাওয়া গিয়েছে।বিচারপতি বাগচী এই তথ্য শুনে হতবাক হয়ে পড়েন। এরপরই তিনি রাজ্যের সমস্ত সংশোধনাগারে চার সপ্তাহের মধ্যে জ্যামার ও ফুল বডি ইলেকট্রনিক্স স্ক্যানার (Full Body Electronic Scanner) বসানোর নির্দেশ দেন। বলা হয়েছে, অভিযুক্তদের যখন সংশোধনাগারে নিয়ে আসা হবে, তখন ওই স্ক্যানারের মাধ্যমে পরীক্ষা করে দেখতে হবে তাদের কাছে কোনও ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস আছে কিনা। সংশোধনাগারে বসে বন্দিরা ফোনের মাধ্যমে ব্যবসা চালাচ্ছে বা বাইরে যোগাযোগ করছে, এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট সংশোধনাগারের ডিএসপি, ডিএনটির বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
আরও পড়ুন: US Warns Citizens: নাগরিকদের অবিলম্বে রাশিয়া ছাড়ার পরামর্শ মার্কিন কর্তৃপক্ষের
ফুল-বডি স্ক্যানার হল এমন একটি ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস, যা শারীর থেকে পোশাক না খুলে বা শরীরে কোনও স্পর্শ ছাড়াই একজন ব্যক্তির শরীরের উপর বা ভিতরে থাক বস্তু সনাক্ত করতে পারে।
সরকারি আইনজীবীর বক্তব্য শুনে তাজবুল ও সুকুরের আইনজীবীর পাল্টা যুক্তি, তাঁর মক্কেলদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। অন্য অভিযুক্তের বয়ানের ভিত্তিতে তাদের গ্রেফতার করা হয়। সেই অভিযুক্ত জামিন পেয়ে গিয়েছে। তাঁর মক্কেলদের কাছ থেকে কোনও মাদক উদ্ধার হয়নি। তাই তাদের জামিন মঞ্জুর করা হোক। কিন্তু, আদালত নির্দেশ দিয়েছে, ৪ সপ্তাহ পর এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। পাশাপাশি আদালত এই নির্দেশ দিয়েছে, রাজ্যের সমস্ত সংশোধনাগারে আদালতের নির্দেশ মতো জ্যামার বা ফুল বডি স্ক্যানার বসানো হল কিনা, তা নিয়ে চার সপ্তাহ পর বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দিতে হবে হাইকোর্টে।