নয়া দিল্লি: ‘ব্যাক টু বেসিক’
দেশের মূলে ফিরে যাও। কথা বলো সাধারণ মানুষের সঙ্গে। তাঁদের কথা শোনো। যে তত্ত্বে বিশ্বাস করতেন মহাত্মা গান্ধী (Mahatma Gandhi)। এখন দেশে ঘৃণা ছড়ানো হচ্ছে, ভেদাভেদ তৈরি হচ্ছে। তা দূর করতে হবে। সংবিধানকে বাঁচাতে হবে। একসঙ্গে মিলে দেশের উন্নতি করতে হবে। সেজন্যই কংগ্রেসের এই ভারত জোড়ো যাত্রা। ইন্দিরা গান্ধীর জন্ম জয়ন্তীতে শনিবার ৭৩ দিনে পড়ল কংগ্রেসের ভারত জোড়ো যাত্রা (Bharat Jodo Yatra)। এদিন মহারাষ্ট্রে বুলদানা জেলায় ওই যাত্রা হয়। সেখানে কংগ্রেস কর্মীদের থাকার জন্য বিভিন্ন ক্যাম্প করা হয়েছে। জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (JNU) প্রাক্তন ছাত্র নেতা কানহাইয়া কুমার (Kanhaiya Kumar) তাতে যোগ দেন। তিনি সেখানে কলকাতা টিভিকে (KolkataTV) একান্ত সাক্ষাতকারে এদিন বলেন, এখন বিরোধিতা করলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা দিয়ে ভয় দেখানো হচ্ছে। জেলে ভরে দেওয়া হচ্ছে। মিথ্যা মামলা করা হচ্ছে। ‘মন কী বাত নয়’, সাধারণ মানুষের মন শোনার জন্যেই এই ভারত জোড়ো যাত্রা।
যুব সম্প্রদায়কে সামনে রেখে বিপুল সাড়া ফেলছে কংগ্রেসের এই ভারত জোড়ো যাত্রা। জয়রাম রমেশ সহ একের পর এক জাতীয় স্তরের নেতা মহারাষ্ট্রে থাকা রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) ওই যাত্রায় এখন যোগ দিয়েছেন। দেশে বেকারত্ব, দ্রব্যমূল্যের মতো গুরুতর সমস্যা থেকে নজর ঘুরিয়ে দিতেই কেন্দ্র সরকার এসব করেছে বলে অভিযোগ তুলছেন কংগ্রেস নেতারা।
আরও পড়ুন: Anubrata Mandal: কেষ্ট ঘনিষ্ঠ দুই চালকল মালিককে দিল্লিতে তলব ইডির
এদিন কানহাইয়া কুমার আরও বলেন, এই ভারত যে জমির সঙ্গে জুড়ে আছে, সেখানে রাজনৈতিক মানচিত্রের মধ্যে অনেক ভাষার মানুষ আছেন। কিন্তু, বিবিধ ভারতীয় এক ভাবনায় জুড়ে থাকে। সেই এক ভাবনাকে দুর্বল করে দেওয়া হচ্ছে। সব আঞ্চলিক ভাষার মানুষ একজোট হয়েই দেশের উন্নতি করতে পারবেন। কংগ্রেস (Congress) লড়াই করে দেশে স্বাধীনতা এনেছে। স্বাধীনতা বলতে বাঁচার স্বাধীনতা (Freedom)। রোজগারের স্বাধীনতা। এখন আবার সেই লড়াই। যেতে হবে দেশের মূলে।