বেঙ্গালুরু: শিয়রে বিধানসভা ভোট (Karnataka Assembly Vote 2023)। তাই রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের (State Government Employees Association) অনির্দিষ্টকাল ধর্মঘট (Indefinite Strike) শুরুর প্রথম দিন কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আন্দোলনের চাপে নতিস্বীকার করল কর্নাটকের বিজেপি (BJP) সরকার। রাজ্য কর্মীদের বেসিক পে (Basic Pay) একলাফে ১৭ শতাংশ বাড়িয়ে দিতে বাধ্য হলেন মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই (Chief Minister Basavraj Bommai)। তাও এই বৃদ্ধি অন্তর্বর্তী (Interim Relief) বলে সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে। আগামী মে মাসের মধ্যে নতুন সরকার গঠন হবে কর্নাটকে। তার আগে কর্মচারীদের দাবিমতো রাজ্য পুরনো পেনশন প্রকল্প (OPS) চালুর পুনর্বিবেচনা করতে একটি কমিটিও গঠন করেছে। এদিন থেকেই অন্তর্বর্তী বেতন বৃদ্ধির সুবিধা পাবেন কর্মীরা।
কর্মচারী সংগঠনের নেতৃত্বের সঙ্গে মঙ্গলবার রাতে বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার সকালে অর্থ দফতরের সঙ্গে বৈঠকের পর ফের একদফা কর্মচারীদের নিয়ে আলোচনায় বসেন বোম্মাই। তারপরই মূল বেতনের ১৭ শতাংশ বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেন এবং সংগঠনও ধর্মঘট তুলে নেয়।
আরও পড়ুন: Adeno Virus: বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজে অ্যাডিনো ভাইরাস সংক্রমণে মৃত্যু ২ শিশুর
বোম্মাই বলেন, এ বিষয়ে খুব শীঘ্রই বিজ্ঞপ্তি জারি হবে। অর্থ দফতরের অতিরিক্ত মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি পুরনো পেনশন প্রকল্প চালু করার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করবে। সেখানে রাজ্যের আর্থিক অবস্থা সহ অন্যান্য দিকগুলি খতিয়ে দেখে বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দেবে কমিটি। কর্নাটক স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশন (KSGEA) বা কর্মী সংগঠনের সভাপতি সিএস ষড়াক্ষরী বলেন, সরকারের সিদ্ধান্তে আমার খুশি ও সম্মত হয়েছি। সে কারণে আমরা অনির্দিষ্ট ধর্মঘটের রাস্তা থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং সকলকে কাজে ফিরে যাওয়ার আর্জি জানিয়েছি। দুমাসের মধ্যে পুরনো পেনশন প্রকল্প নিয়ে রিপোর্ট তৈরি হয়ে যাবে বলেও সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রীর এদিনের ঘোষণায় রাজ্য সরকারের ঘাড়ে অতিরিক্ত ১২ হাজার কোটি টাকার খরচ বাড়বে। এই দুটি দাবিতেই কর্মচারী সংগঠন ১ মার্চ থেকে অনির্দিষ্টকাল ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল। সেই মতো এদিন সকাল থেকে রাজ্য সরকারগুলি অফিসগুলি কার্যত অচল হয়ে পড়ে। বহু অফিসের দরজাই খোলেনি। সরকারি স্কুল-কলেজগুলিও বন্ধ ছিল। বহু হাসপাতালে ডাক্তাররা কালো ব্যাজ পরে কাজ করেন। আবার অনেক জায়গায় ডাক্তার-নার্সরা কাজেই নামেননি।