সম্প্রতি তৃণমূলের অন্দরে তৈরি হওয়া সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বনাম তাপস রায় বিতর্কে এবার বরাহনগরের বিধায়কের পাশে দাঁড়ালেন কামারহাটির বিধায়ক। বৃহস্পতিবার বিধানসভার বাইরে মদন মিত্র সাংবাদিকদের বলেন, আমি আজই তাপসের বাড়িতে যাব। দলের পুরানো সতীর্থের পাশে দাঁড়িয়ে তাপস রায়ের বাড়ি যাওয়ার কথা বললেও তৃণমূলে তাঁর আর এক পুরানো সহযোদ্ধা উত্তর কলকাতার সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে যেতে নারাজ মদন। এই প্রসঙ্গে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করতে গিয়ে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনার পাশাপাশি রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষকেও কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন মদন মিত্র।
সদ্য তৃণমূল ত্যাগ করে বিজেপিতে যাওয়া একসময়ের ছাত্র নেতা তমোঘ্ন ঘোষকে দলের উত্তর কলকাতা জেলা কমিটির সভাপতির পদে বসায় গেরুয়া শিবির। আর তারপরেই সে প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে কাঠগড়ায় তোলেন তাপস রায়। তার অভিযোগ, ওই তমোঘ্ন ঘোষকে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়ার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে সুপারিশ করেন সুদীপ। পাশাপাশি চলতি বছরেও তমোঘ্নর বাড়ির দুর্গাপুজোয় একইদিনে উপস্থিত ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী আর সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাপস রায় প্রায় খোলাখুলিই বুঝিয়ে দেন বিজেপির সঙ্গে নানা ভাবে যোগাযোগ রেখে চলছেন উত্তর কলকাতার তৃণমূল সাংসদ।
বৃহস্পতিবার সে প্রসঙ্গে সুদীপের উদ্দেশ্যে মদন মিত্রের প্রশ্ন, আবার তমোঘ্ন ঘোষের বাড়ি যাব, একথা বলার অর্থ কি? তাহলে তো শুভেন্দু অধিকারীর বাড়িতে পূর্ব মেদিনীপুরের ছেলেরা চলে যাবে। এটা ঠিক নয়। আর তারপরেই কুণাল ঘোষকে কটাক্ষ করে রাজ্যের প্রাক্তন পরিবহনমন্ত্রী বলেন, মাঝখানে চোদ্দ দিনের জন্য মুখ বন্ধ ছিল। তখন বোরোলীন নিয়ে বসে থাকা হয়েছিল। এরপরেই দলের অভ্যন্তরীন সমীকরণের প্রসঙ্গ তুলে মদন মিত্র জানিয়ে দেন, দলে একমাত্র মমতা আর অভিষেকই কথা বলবেন। আমাদের মুখপাত্র নিশ্চয়ই অনুমতি নিয়েই সব বিষয়ে কথা বলে থাকেন।
এদিকে এক তাপসকে নিয়ে দলের মধ্যে উত্তপ্ত আবহের মধ্যে মুখ খুললেন আর এক তাপস। ঘটনাচক্রে তিনিও বিধায়ক। তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনীতে ডাক না পাওয়ার জন্য ক্ষোভপ্রকাশ করেন রাজারহাট-নিউটাউন কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায়। আর সে ব্যাপারে মদন মিত্রের বক্তব্য, দল এখন অনেক বড়। তাই সবাইকে হয়তো জায়গা দেওয়া সম্ভব হয় না সব অনুষ্ঠানে। আর সকলেরই নিজের অতীত মনে রাথা উচিত। নয়তো কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বার হয়ে