এক ক্লাস থেকে অন্য ক্লাস উঠলে এবার স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের মিলবে সম্মান। এই ব্যবস্থা চালু করছে রাজ্যের স্কুলশিক্ষা দফতর। সূত্রের খবর, স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া ছাত্রছাত্রীদের জন্য এবার স্কুলগুলিতে স্কুলে পালিত হবে ‘গ্র্যাজুয়েশন সেরিমনি’। এব্যাপারে রাজ্য স্কুলশিক্ষা দফতর ইতিমধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে নির্দেশিকা পাঠিয়েছে। কালীপুজোর পরে স্কুল খুললেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদ রাজ্যের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলগুলিকে এই নির্দেশিকা পাঠাবে।
স্কুলশিক্ষা দফতরের ওই নির্দেশিকায় এও বলা হয়েছে, প্রতিবছর ২ জানুয়ারি অথবা তারপরে ‘গ্র্যাজুয়েশন সেরিমনি’র আয়োজন করতে হবে। নতুন ক্লাসে ওঠা পড়ুয়াদের হাতে চকোলেট ও মিষ্টি তুলে দিয়ে তাদের স্বাগত জানাবেন ক্লাস টিচার। নতুন ক্লাসে ওঠা ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে পরিচিত হবেন ক্লাস টিচার। আর স্কুলের প্রধান শিক্ষক, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কিংবা ক্লাস টিচার নবাগত ছাত্রছাত্রীদের স্কুলের ইতিহাস সম্পর্কে জানাবেন। এছাড়া রাজ্য সরকার স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের বই, স্কুলের ইউনিফর্ম, জুতো, স্কুলব্যাগ থেকে স্বাস্থ্য মিড-ডে মিল-সহ যে পরিষেবাগুলি প্রদান করছে সেই পরিষেবাগুলি সম্পর্কে জানাবেন।
ওই নির্দেশিকায় এও বলা হয়েছে, প্রত্যেক স্কুলে একটি নির্দিষ্ট ফটো কর্নার থাকবে যাতে সব ছাত্রছাত্রীর ফটো, জন্মতারিখ উল্লেখ থাকবে। ফটো কর্নারে ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে ক্লাস টিচারের ফটোও থাকবে।
‘গ্র্যাজুয়েশন সেরিমনি’র অনুষ্ঠান তথ্যচিত্র আকারে তৈরি করতে হবে। এছাড়া বুকলেটও প্রকাশ করতে হবে।
ওই নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, প্রধান শিক্ষকের সই করা ধন্যবাদজ্ঞাপনের চিঠি প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীকে দিতে হবে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ক্লাস মনিটর, কালচারাল মনিটর, স্পোর্টস মনিটর মিড-ডে মিল মনিটরের মনোনয়ন পর্ব শেষ করতে হবে। এছাড়া গ্রুপ লার্নিংয়ের জন্য ছাত্রছাত্রীদের যুক্ত করতে হবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে। ছাত্রছাত্রীদের ক্লাসে বসার সুব্যবস্থা করতে হবে যাতে পরিবেশ পঠনপাঠনের জন্য উন্নত হয়।
আরও পড়ুন: Mallikarjun Kharge: আজ নবনির্বাচিত মল্লিকার্জুন কংগ্রেস সভাপতির দায়িত্ব নেবেন
প্রসঙ্গত, উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে এধরনের ‘গ্র্যাজুয়েশন সেরিমনি’ বিভিন্ন বেসরকারি অথবা সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে চালু আছে। তবে বিদেশের স্কুলগুলিতে এধরনের রীতি চালু রয়েছে।
স্কুল শিক্ষা দফতরের আধিকারিকদের মতে, এর ফলে নতুন ক্লাসে ওঠার পরে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে উৎসাহ আরও বাড়বে। পাশাপাশি, ড্রপ আউটের হারও কমবে।