বহরমপুর: শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে সিবিআই (CBI) , ইডির (ED) তদন্ত চলছে। ইতিমধ্যে অনেকের চাকরি গিয়েছে। যোগ্য প্রার্থীদের কয়েকজন নিয়োগপত্র (Appointment Letter) পেয়েছেন ইতিমধ্যে। তারই মধ্যে এবার একটি জেলায় পঞ্চায়েত দফতরে (Panchayet Office) নিয়োগে দুর্নীতির ইঙ্গিত মিলল।চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যাওয়ার জোগাড় হয়। যখন বলা হয় পরীক্ষার যাবতীয় খাতা হারিয়ে গিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদ জেলায়। ওই জেলায় পঞ্চায়েত দফতরের কাজে বিভিন্ন পদের জন্য প্রায় এক লক্ষ পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দেন। এবং সেই খাতা হারিয়ে যায়। ১৫৭ পদে নিয়োগের জন্য ২০১৮ সালে পরীক্ষা দেন ওই পরীক্ষার্থীরা। বুধবার বিষয়টি আদালতে ওঠে।
এক লক্ষ লোকের খাতা হারিয়ে যাওয়াটা অনেকটা আষাঢ়ে গল্প। খাতা হারিয়ে গেলেও এখন সব সফট কপি রাখা থাকে, বিস্ময়ে প্রশ্ন ডিভিশন বেঞ্চের। কী করে খাতা হারালো, কে বা কারা ওই খাতা সংরক্ষণের দায়িত্বে ছিল, চার সপ্তাহের মধ্যে পঞ্চায়েত দফতরের সচিবকে হলফনামা দিয়ে তা আদালতে জানাতে হবে।
কিন্তু এতদিনেও কোনও নিয়োগ হয়নি। দ্রুত নিয়োগের দাবিতে ২০২১ সালে মামলা হয় হাইকোর্টে।বিচারপতি অরিজিৎ ব্যানার্জির ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্য এদিন জানায়, সেই পরীক্ষার যাবতীয় খাতা হারিয়ে গিয়েছে। যা শুনে ডিভিশন বেঞ্চ বিস্মিত। এক লক্ষ লোকের খাতা কী করে হারিয়ে গেলো তাই নিয়ে রাজ্যের বক্তব্য শুনে আদালতে গুঞ্জন শুরু হয়। ডিভিশন বেঞ্চের বক্তব্য, হারিয়েছে বললেই আর সেই সব খুঁজে পাওয়া যাবে না, এখন আর সেটা করা যাবে না। কারণ এখন সব এমন নথির সফট কপি থাকে অন্য এজেন্সির কাছে।
আরও পড়ুন: DA: ডিএ নিয়ে চাঞ্চল্যকর প্রশ্ন আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের
এদিকে এই ঘটনা চাউর হতেই ফের দুর্নীতির (Corruption) ইঙ্গিত পাওযা যাচ্ছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এখানে দেড়শো পদের জন্য চাকরির পরীক্ষা হলেও লক্ষ লক্ষ পরীক্ষার্থীর ভবিষ্যত (Future) জড়িয়ে রয়েছে সেখানে। কারণ লক্ষাধিক পরীক্ষার্থী ওই পরীক্ষা দিয়েছিলেন।