জলপাইগুড়ি: গরম (Hot Weather) থেকে রেহাই নেই এখনও। গোটা রাজ্যজুড়ে (Westbengal) চলছে তীব্র গরমের দাপট। সূর্যের চোখ রাঙানি এতটাই যে হাঁসফাঁস অবস্থা রাজ্যবাসীর। মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশে গরমের জন্য বন্ধ রয়েছে সমস্ত স্কুল (School)। গরমে জীবন ওষ্ঠাগত। সেই জায়গায় গর্ভবতী মা এবং সদ্যোজাত শিশুদের চিকিৎসার জন্য তৈরি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে নেই বিদ্যুতের সংযোগ। দশ বাই বারো ফুটের একটি ঘরে চলছে উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র (Health Centre)। সেখানেই চলছে সমস্ত কাজ। নেই রোগী এবং তার পরিজনদের বসার জায়গা। তার উপর সবচেয়ে বেশি সমস্যা হচ্ছে নেই বিদ্যুৎ সংযোগই। স্বাস্থ্যকর্মী থেকে শুরু করে সেখানে আসা মানুষ গরমের হাত থেকে বাঁচতে হাতপাখা এবং ব্যাটারি চালিত পাখার উপর ভরসা করে আছেন। বেহাল অবস্থা জলপাইগুড়ি জেলার মেটেলি ব্লকের দক্ষিণ ধূপঝোরা গ্রামের এই উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটি। ঘটনায় বৃহস্পতিবার ওই উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে আসা দীপ্তি রায় (Dipti Roy) ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন।
একটি ছোট ঘরের মধ্যে রয়েছে রোগীদের জন্য বেড। দুজন স্বাস্থ্যকর্মীর জন্য দুটো টেবিল ও ওষুধপত্র অন্যান্য সরঞ্জাম রাখার জন্য আলমারি। কার্যত টেবিল, চেয়ারেই ভরে গিয়েছে গোটা ঘর। সেখানে আর নড়াচড়া করার জায়গা নেই। ঘরের জানালা খুলে কাজ করতে হয়। পাশাপাশি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আসা গর্ভবতী মা, সদ্যজাত শিশু এবং তাঁদের আত্মীয় পরিজনদের বসার জন্য কোনও জায়গা নেই। বাকি স্বাস্থ্যকর্মীরা বারান্দায় বসে কাজ করছেন। নেই পানীয় জলের বন্দোবস্ত, নেই শৌচাগার। সব থেকে বেশি সমস্যার মধ্যে পড়তে হয় এই গরমের মধ্যে শিশুদের ভ্যাকসিন করার সময়। সাধারণ গ্রামবাসী থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্মী প্রত্যেকেই চাইছেন বিদ্যুতের সংযোগ এবং পানীয় জলের বন্দোবস্ত করা হোক।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee | M K Stalin | স্ট্যালিনকে ফোন মমতার, অ-বিজেপি শাসিত মুখ্যমন্ত্রীদের বৈঠকের পরামর্শ
মেটেলি ব্লক স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে খবর, যেই ঘরটিতে এই মুহূর্তে উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র চলছে সেটি সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েত দফতরের। সেখানে এর আগে পশু চিকিৎসালয় ছিল। পরবর্তীতে পশু চিকিৎসালয় উঠে যাওয়ার পর এই উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটি সেখানে চালু করা হয়। উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র চালু হলেও পশু চিকিৎসালয়ের যে বিদ্যুৎ সংযোগ ছিল সেটি কেটে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে স্থানীয় একটি ক্লাবের থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে কাজ চালানো হয়েছিল। তবে এই মুহূর্তে সেখানে কোনও বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জন্য জমি খোঁজা হচ্ছে সেখানে স্থায়ী ভবন নির্মাণ করা হবে। যদিও এখন সব থেকে বড় প্রশ্ন কবে জমি পাওয়া যাবে? কবেই বা ভবন নির্মাণ হবে? ততদিন পর্যন্ত এই এলাকার গ্রামবাসী ও স্বাস্থ্য কর্মীদের এই গলদঘর্ম পরিস্থিতিতে কাজ করতে হবে, না কি বিকল্প কোনও চিন্তাভাবনা করবে প্রশাসন সেটাই এখন দেখার বিষয়।