ইউক্রেনে তাঁর সংস্থার ইন্টারনেট পরিষেবা স্টারলিংক ইন্টারনেটের জন্য কোনও অর্থ মার্কিন সামরিক বিভাগ থেকে পাননি। জানিয়ে দিলেন টেসলা কর্ণধার। এলন মাসক তাঁর টুইটে এখবর জানাতে বাধ্য হলেন নেট দুনিয়ায় একটি সংবাদ ছড়িয়ে পড়ার পর। যে খবরের মূল সারবস্তু পেন্টাগন সূত্রে অথবা মার্কিন সামরিক বিভাগের মাধ্যমে আর্থিক সাহাষ্য পাচ্ছে টেসলা। আর সে সাহায্য পাওয়ার মূল কারণ, যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেনে টেসলার ইন্টারনেট পরিষেবাকে চালু রাখার তাগিদ।
কিন্তু টেসলা কর্ণধার নিজে জানিয়েছেন, তিনি এমন কোনও আর্থিক সহায়তা মার্কিন সামরিক বিভাগ থেকে পাননি। অবশ্য স্টারলিংক ইন্টারনেট পরিচালনার দায়িত্বে আছে এলন মাসক-এর অন্য একটি সংস্থা স্পেসএক্স। এলন মাস্ক ট্রাস্ট-এর আওতাভুক্ত ওই সংস্থার প্রসঙ্গ বুধবার সামনে আসে। পেন্টাগনের মুখপাত্র আলেক্সি আভইগট টুইট করে জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে তাতে মাস্ক-এর মহাকাশযান সংস্থা স্পেসএক্স ইউক্রেনে চালু থাকা তাঁদের ইন্টারনেট পরিষেবা স্টারলিংক ইন্টারনেট-এর জন্য কোনও অর্থ দেননি।
আর সে অভিযোগ ওঠার পরেই মাস্ক টুইটে জবাব দিয়েছেন, তিনি নিজে এই বিষয়টি খুব ভাল করে জানেন যে স্পেসএক্স তাঁর ইন্টারনেট ব্যবসার জন্য কোনও রকম আর্থিক সহায়তা মার্কিন সামরিক বিভাগ থেকে পায়নি। উপরন্তু পাল্টা অভিযোগ তুলে টেলসা কর্ণধারের দাবি, ইউক্রেনে স্টারলিংক ইন্টারনেট নামে নেট পরিষেবা চালু রাখার জন্য তাঁর সংস্থা স্পেসএক্স প্রতি মাসে অন্তত দুকোটি ডলার লোকসানে চলছে। এর মূল কারণ নিরাপত্তাজনিত প্রয়োজনে ইন্টারনেট পরিষেবার খরচ বেড়ে যাওয়া। আর অধিকাংশ গ্রাহকের নেট পরিষেবার জন্য প্রাপ্য অর্থ না পাওয়া। কিন্তু তা সত্ত্বেও স্পেসএক্স ইউক্রেনে তার নেট পরিষেবা অব্যাহত রাখবে।
সংবদমাধ্যমে সম্প্রতি প্রকাশিত খবরে জানানো হয় টেলসার সিইও নাকি পেন্টাগনকে চিঠি লিখে জানিয়ে দিয়েছেন, ইউক্রেনে চালু থাকা তাঁর সংস্থার নেট পরিষেবাকে আর্থিকভাবে মোটেই লাভজনক করা সম্ভব নয়। যদিও এলন মাস্ক নিজে সে খবরকে ভিত্তিহীন বলে বাতিল করে দিয়েছেন।