হলদিয়া: প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা বোল্ডার দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হলেন পূর্ব মেদিনীপুরের শহীদ মাতঙ্গিনী পঞ্চায়েত সমিতির (Panchayat Samiti) প্রাক্তন সভাপতি দিবাকর জানা। তিনি বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূল (AITC) ছেড়ে দেন। ২০২১ সালের ২ আগস্ট পঞ্চায়েত সমিতির খাদ্য ও সরবরাহ স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ জয়দেব বর্মন তার বিরুদ্ধে তমলুক থানায় এফআইআর (FIR) করেছিলেন। এদিকে পূর্ব মেদিনীপুরের এক তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে দল ব্যবস্থা নেওয়ার পরে বুধবার রাতে তাঁকে গ্রেফতার করা হল। স্থানীয় শান্তিপুর এক গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শেখ সেলিম আলির বিরুদ্ধে ঠিকাদারি ও বেনামে প্রচুর সম্পত্তি থাকার অভিযোগ পেয়েছিল দল।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি থাকাকালীন দিবাকর জানা ২০১৮ সালে ৩০ আগস্ট কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের (Thermal Power) জেনারেল ম্যানেজারকে চিঠি দিয়ে বোল্ডার ও রাস্তা তৈরির সামগ্রী চেয়েছিলেন। মূলত গ্রামীণ রাস্তা মেরামতের জন্য পঞ্চায়েত সমিতির প্যাডে ওই সব সামগ্রী চাওয়া হয়েছিল। ওই বছরের ৬ ডিসেম্বর জিএম চিঠি দিয়ে এক হাজার গাড়ি স্টোন বোল্ডার (Stone Bolder) দেওয়ার কথা জানান। পরে পিটিসিএলকে এ নিয়ে ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট দেন দিবাকর।
কিন্তু প্রায় ৩০ লাখ টাকা মূল্যের হাজার গাড়ি বোল্ডার গ্রামীণ রাস্তার কাজে ব্যবহারই হয়নি। নিজের ঘনিষ্ঠ ঠিকাদার সংস্থাকে তিনি সেই সব পাইয়ে দিয়েছিলেন। পরে এব্যাপারে পঞ্চায়েত সমিতির খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ, জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারের অফিসে অভিযোগ জানান। পাশাপাশি আদালতের (Court)দারস্ত হন। কোর্টের নির্দেশে দিবাকর জানার বিরুদ্ধে এফআইআর (FIR) হয়। সেই মামলায় বুধবার তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এদিকে অভ্যন্তরীণ তদন্তে দুর্নীতির (Corruption) অভিযোগের সত্যতা পেয়ে মঙ্গলবার স্থানীয় শান্তিপুর এক গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শেখ সেলিম আলিকে ইস্তফার নির্দেশ পাঠায় দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। বুধবার তিনি ইস্তফা (Resignation) দেন। বুধবার সন্ধ্যায় তাঁকে গ্রেফতার করে কোলাঘাট থানার পুলিশ (WB Police)। কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ফ্লাই এস লোডিং কারবারে একটি সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। অভিযোগ, সেই সংস্থার পার্টনার সেলিম নিজেই। সেই সময় তৎকালীন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দিবাকর জানা এবং প্রধান সেলিমের বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর হয়।